E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সিরাজগঞ্জ ৪ : আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি যুদ্ধ

২০১৭ নভেম্বর ২০ ১৫:১৬:০৪
সিরাজগঞ্জ ৪ : আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি যুদ্ধ

অসীম মন্ডল, সিরাজগঞ্জ : সড়ক ও রেল যোগাযোগ সমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনটি উল্লাপাড়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। শষ্য এবং ব্যাবসায়িক ভাবে সমৃদ্ধ এই আসনটি নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলেরই রয়েছে বাড়তি নজর। ক্ষমতায় থাকা আওয়ামীলীগ ও সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী যুদ্ধ। যদিও উভয় দলই রাজনৈতিক কোন্দলে পর্যদুস্ত। 

তবে উভয় দলের নেতা কর্মীরা আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন চুড়ান্ত হলে সকলেই মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে একযোগে মাঠে নামবে নির্বাচনী বিজয় চুড়ান্ত করতে। নানা কারনে চাপে থাকা জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড স্বাচ্ছন্দে চালাতে না পারলেও এই অঞ্চলে রয়েছে তাদের বড় ভোট ব্যাংক। ভিতরে ভিতরে তারাও সক্রিয় ভাবে গোপনে কর্মকান্ড চালাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে স্থানীয় নির্বাচন গুলোর মত জামায়াতও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে দলীয় ভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারে।

১৯৯১ এবং ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী এম আকবর আলী এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অপরদিকে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে থাকে। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও পলাশ ডাঙ্গা যুবশিবীরে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং এলাকার উন্নয়নে তার ভূমিকায় এই আসনটিতে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আব্দুল লতিফ মির্জা প্রয়াত হলে এই আসনে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা গাজী শফিকুল ইসলাম (শফি)। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আসনের সকল দলেরই আগ্রহী সম্ভাব্য প্রার্থীরা যারযার অবস্থানে থেকে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীরাই রয়েছেন এগিয়ে। এছাড়া প্রচারনার ক্ষেত্রে ফেসবুকের ব্যবহার এবারের ভিন্নতা এনেছে। তাদের নানা কর্ম তৎপরতা জনসংযোগ আর উন্নয়নের চিত্র সহ বিবরন শোভা পাচ্ছে তাদের নিজ নিজ নামের ফেজবুক পেজে।

আওয়ামী লীগ

২০১৪ সালে নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামকে মনোয়ন ও পরে বিনা প্রতিদদ্ধিতায় নির্বাচিত হবার পর থেকে এ আসনে আওয়ামীলীগে রাজনৈতিতে দন্দের সুত্রপাত ঘটে। যদিও নির্বাচনের সময় দলীয় সকল নেতা কর্মীর দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তার পাশে থেকে কাজ করেছেন বলে দলের সে সময়ের নেতাদের দাবী। দলীয় অনেক নেতাকর্মীর মতে এইচ টি ইমামের বাড়ি এ আসনে হবার পাশাপশি এবং আওয়ামী রাজনীতির নীতি নির্ধারকদের একজন হবার কারনে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তার ছেলে তানভীর ইমামকে নৌকাপ্রতীক দেওয়া হয়।

এ আসনের আওয়ামীলীগের দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচি পৃথক ভাবেই পরিচালিত হয়। বর্তমান সাংসদ তানভির ইমাম ও সাবেক সাংসদ গাজী শফিকুল ইসলামের দন্দেই শুধু দলটি বিভক্ত নয়। সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দল লতিফ মির্জার মেয়ে সেলিনা মির্জা মুক্তির দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহনও এ আসনের রাজনীতিক কর্মকান্ড তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া র্দীঘ সময় পার হলেও উপজেলার আওয়ামীলীগের আহব্বায়ক কমিটি নিয়ে চলা নানা নাটকীয়তার অবসান এখনো হয়নি। এখনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত করতে পারেনি দলটি। চলমান এ বিভক্তির দ্বন্দে জেলা পর্যায় থেকে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে না পারলে চেষ্ঠা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা।

রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় বিভিন্ন সময়ে বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটেছে এখানে। তানভীর ইমাম সাংসদ নির্বাচিত হবার মধ্য দিয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে পরিচয় ঘটে তার। আওয়ামী রাজনীতিতে হঠাৎ করে জড়ালেও এই বর্তমান সাংসদ জামায়াত বিএনপির জ্বালাও পোড়াও তান্ডবের সময় এ অঞ্চলে তার নেতৃত্বে নাশকতা বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। নবীন নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিয়ে দলের অঙ্গসংগঠনের কমিটি ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থী নির্ধারনের মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী করেছেন। তবে অনেক প্রবীন নেতার মতে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলীর চাইতে ব্যক্তি পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

যদিও উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনের আওয়ামীলীগের ঘরে জয় আনার পেছেনে তানভির ইমামের শক্ত অবস্থান রয়েছেন। বর্তমান সাংসদ এরই মধ্যে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশায় দলের এক অংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারে নানা উন্নয়নের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় এই সাংসদ বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করলেও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে তিনি এলাকায় সময় দিয়ে আসছেন। দলের বর্তমান প্রথম সারির নেতাদের মতে বর্তমান সাংসদের রাজনৈতিক শক্ত বলয় আগামী আন্দোলন সংগ্রামে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারবেন। তানভির ইমাম জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ সম্মেলন অনুিষ্ঠত করা সম্ভব হয়নি। প্রধান মন্তির নির্দেশে পরে এটি স্থবিত রাখা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকার হাল ধরে তিনি এ অঞ্চলের মানুষের পাশে কাজ করার কথা জানান। এরই মধ্যে সভা সমাবেশ করে তিনি তার প্রচারনা চলিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের আহব্বায়ক মীর শহিদুল ইসলাম পূর্ন জানান, এ আসনে আগামী নির্বাচনে জনসম্প্রক্ত প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার হালকে শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে আবারো জয় নিশ্চিত করা হবে।

এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম (শফি) ২০০৮ সালে প্রতিদন্দিতা করে বিজয়ী হলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা ও সাবেক সংসদ থাকা কালীন সময়ে এলাকার উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে দলে ও সাধারন ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। দলের একটি অংশকে নিয়ে তিনি এরই মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশায় তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন।

দলের নানা জাতীয় ও সাংগঠনিক কাজও তিনি পৃথক ভাবে চালিয়ে আসছেন। তিনি জানান, উল্লাপাড়া রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় শ্রম দিয়ে এসেছি। দলের নানা প্রতিকূলতায় দলের ও নেতা কর্মীদের পাশে থেকেছি। দলের বিভক্তির বিষয়ে তিনি বলেন দলের সিদ্ধান্তই আমার শেষ কথা।

এ অঞ্চলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতা মরহুল আব্দুল লতিফ মির্জার সাথে কাজ করে সুষ্ঠ রাজনৈতীক চর্চার মধ্য দিয়ে দলকে সু-সংগঠিত করে এসেছি। রাজনৈতিক ময়দানে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত আসার কারণে ও দলের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় না থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দলকে সু-সংগঠিত করতে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এরই মধ্যে তিনি পথসভা ও সমাবেশ করে চলেছেন।

অপরদিকে সাবেক সাংসদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জার মেয়ে সেলিনা মির্জা মুক্তিও এ আসনে মনোনয় প্রত্যাশী। তার বাবার এ আসনে বাড়তি গ্রহন যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা থাকার কারনে আগামী নির্বচনে তিনি মনোনয়ন পেলে ভোটারদের মাঝে এর প্রভাব পড়বে বলে অনেকের ধারোনা।

তিনি জানান, তার বাবার মত্যৃর পর থেকে উল্লাপাড়ার রাজনৈতিতে বিভেদ সৃষ্টি হয় যা দলের জন্য ও আগামী নির্বচনে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনিও তৃনমূল নেতাকমীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে তাকে দল তাকে মনোনিত করলে তিনি জয়ের ব্যপারে আশাবাদী। তিনি জানান এলাকায় তার বাবার জনপ্রিয়তার পাশাপাশি রয়েছে বড় ভোট ব্যংক রয়েছে । যা আগামী নির্বাচনে তার জয়ের সহায়ক হবে। দলীয় ও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিতি এখন বেড়েছে।

বিএনপি

বিগত সময়ে বিএনপির রাজপথে নানা কর্মসূচি এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনে কার্যত ভূমিকা না রাখলেও এ আসনে ২০দলীয় জোটের ভূমিকা চোখে পড়ার মত। দলের নানা কর্মসুচিতে এখানে দলটি তাদের কার্য়ক্রমে নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থায় জানান দেয়। বিগত দিনের আন্দোলনের কারনে এ আসনের বিএনপির নেতৃস্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রয়েছে ডজন ডজন মামলা। এ আসনে বিএনপির ভিত শক্ত হবার পেছনে জামায়াতের সহযোগিতা রয়েছে। এ আসনের সাবেক সাংসদ এম. আকবর আলী ১৯৯১ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত হন। সে সময় উল্লাপাড়া উপজেলায় ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করেন তার অনুসারীারা। বিশেষ করে সেই সময়ে এই উপজেলার রাস্তাঘাটের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো যে কারনে জেলার শিক্ষা নগরী হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা।

বর্তমানে সাবেক সংসদ সদস্য এম.আকবর আলীর উল্লাপাড়ায় অবস্থান কম হলেও তার অনুসারী নেতা কর্মীরা জানান এই নেতার নির্দেশেই তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এম. আকবর আলী জানান উল্লাপাড়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে কথা বললেই আমার জনপ্রিয়তার প্রমান মিলবে। তিনি বলেন এবারে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন এবং সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিজয়ি হবেন।

বিগত দিনের তার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে তিনি মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বলেই বিশ্বাস করেন বর্ষীয়ান এই নেতা । তবে উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জানান, সাবেক সাংসদ এম. আকবর আলী বিগত উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকায় আসেন নি। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার সম্পৃক্তা কম। বিগত ২০০৮ সলের নির্বাচনে ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে জামানত হারিয়ে ছিলেন।

এছাড়া এই আসনে বিএনপি থেকে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশি হচ্ছেন এডভোকেট সিমকী ইমাম খাঁন। তিনি ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রস্ততি হিসাবে এলাকায় আসা যাওয়া শুরু করেছেন। তিনি ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত এবং বিএনপি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষের একজন আইনজিবী হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও ২০১৩ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসুচি চলাকালে সরকার দলীয় সমর্থকদের হাতে নিভৃত হওয়ার ঘটনায় তিনি ব্যাপক ভাবে আলোচিত হয়েছিলেন। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে সম্পর্ক থাকায় মনোনয়ন দৌড়ে তিনি এগিয়ে থাকবেন বলে কেউ কেউ ধারনা করছেন। এডভোকেট সিমকী ইমাম খাঁন জানান, দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি এই আসন থেকে বিজয়ি হবেন।

এদিকে বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক কাজী কামাল এবারে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যশি । তিনি জানান দীর্ঘ দিন দলের সকল কার্য়ক্রমে পাশে থেকে দলকে শক্তিশালী করে আসছি। মামলা হামলা ও নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করে আসছি। এরই মধ্যে দলকে নির্বাচন মুখি করতে ও নিজের প্রচরানয় মধ্য দিয়ে তৃনমূলের কর্মীদের একত্রত করে আসনে ।

তিনি অভিযোগ করে জানান দলের দুসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দেখা যাইনি সাবেক সংসদ সদস্য এম আকবর আলীকে। এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকই দেখা যাবে। আগামী নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দিলে তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

অপর দিকে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা এ কে এম শরীফ উদ্দীন মঞ্জু মনোনয়ন চাইবেন। তিনি জানান এলাকায় তার ব্যক্তিগত পরিচিতি এবং বিগত সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থেকে কাজ করায় তারা সকলেই তার সঙ্গে রয়েছেন। মনোনয়ন পেলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট শামসুল আলম এই আসনের প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি জানান তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন।

এদিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল ওয়াহাব এবারে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন। রাজনীতেতে স্বক্রীয় থেকে তিনি এরই মধ্যে প্রচারনার কাজ চালিয়ে চাচ্ছেন। জেলার নেতাকর্মদের মাঝেও তার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। এছাড়াও ক্রেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে তার লবিং রয়েছে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

জামায়াত

এই অঞ্চলে জামায়াতের রয়েছে বড় একটি ভোট ব্যাংক। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বেশ শক্ত। তাছাড়া বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় এ্যাসিষ্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাঃ রফিকুল ইসলামের বাড়ী এই উপজেলায় হওয়ায় তিনিও একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে দেখা দিতে পারেন। যদি তিনি প্রার্থী হন তবে তা বিএনপির ভোটের ক্ষেত্রে বেশ প্রভাব ফেলতে পারে। ২০০৮ সালের ফলাফলে বিএনপিকে পিছনে ফেলে জামায়াত এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ।

(এমএসএম/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test