E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাক্ষীর হাত ভেঙে দেওয়ায় রাজাকারসহ ৩ জনের নামে মামলা

২০১৭ নভেম্বর ২৭ ১৫:৪১:০১
সাক্ষীর হাত ভেঙে দেওয়ায় রাজাকারসহ ৩ জনের নামে মামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক যুদ্ধারপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেওয়ায় সাক্ষীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের গহর আলী গাজীর ছেলে আকবর আলী গাজী বাদি হয়ে আশাশুনি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের বর্তমানে বুধহাটা গ্রামের তাহের সরদারের ছেলে হাশেম আলী সরদার(৬৫), একই উপজেলার চিলেডাঙা গ্রামের গহর গাজীর ছেলে কবীর গাজী(৫২) ও নৈকাটি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে আব্দুল মান্নানসহ(৪৫) অজ্ঞাতনামা চারজন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৭১ সালের— মুক্তিযুদ্ধচলাকালিন আশাশুনি উপজেলার চাপড়া গ্রামের সদরউদ্দিন সরদারের ছেলে রাজাকার কমাণ্ডার লিয়াকত আলী (৭৫), তার ভাই মুজিবর রহমান সরদার (৭০) ও একই গ্রামের তাহের সরদারের ছেলে আবুল হাশেম সরদার (৬৮) রাজাকার বাহিনী গঠণ করে চাপড়া গ্রামের আমিনউদ্দিন সরদারের বাড়িতে রাজাকার ক্যাম্প স্থাপন করেন। ওই ক্যাম্পে অবস্থানকারি প্রায় ৫০ জন রাজাকারের নেতৃত্ব দিয়ে রাজাকার কমাণ্ডার লিয়াকত আলী, মুজিবর ও হাশেম সরদারের নির্দেশনায় ওই বছরের ২৬ মার্চ মাস থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হত্যা, খুন, জখম ধর্ষণ, বাড়িতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় সাতক্ষীরা শহরের রাজারবাগান এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আন্তজার্তিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারি পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক খানের কাছে গত ২১ ও ২২ নভেম্বর সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে স্বাক্ষী দেন বুধহাটা গ্রামের আকবর আলীসহ আটজন।

বিষয়টি জানতে পেরে বৃহষ্পতিবার রাত ৯টার দিকে পাইথালী বাজার থেকে ঔষধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে হাতিরদোন নামকস্থানে বেলায়েত গাজীর বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গায় সাক্ষী বুধহাটার আকবর আলীর (৬২) উপর হামলা চালায় রাজাকার হাশেম আলী সরদার তার সহযোগী কবীর হোসেন ও আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে উপর্যুপরি নির্যাতনের পর আকবর আলীর বাম হাত ভেঙে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আকবর আলী, তার পরিবারের সদস্য ও অন্য সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, আকবর আলীর দায়েরকৃত অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test