E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

অসহায় নারীকে নিয়ে শ্বশুর পরিবারের এ কেমন আচরণ!

২০১৭ নভেম্বর ২৯ ১৪:৪৬:১২
অসহায় নারীকে নিয়ে শ্বশুর পরিবারের এ কেমন আচরণ!

চাঁদপুর প্রতিনিধ : ‘এক অসহায় নারীকে নিয়ে শ্বশুর পক্ষের এ কেমন আরচণ!’ এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। ঘটনাটি নিয়ে সম্প্রতি রাজিয়া সুলতানা নামে ওই নারী ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় আমলী আদালত ফরিদগঞ্জে মামলা দায়ের করেছেন। রাজিয়া সুলতানা ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামের সুলতান দেওয়ানের মেয়ে। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, রাজিয়া সুলতানার সাথে একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে জাকির হোসেনের ২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর ৪ লাখ টাকা মোহরানা ধার্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এ দম্পতির ঘরে একটি কন্যা সন্তান থাকাকালে স্বামী জাকির দুবাই চলে যান। এরপর থেকে স্ত্রীর আর কোনো খোঁজখবর রাখেনি স্বামী জাকির। এদিকে জাকির প্রবাসে থাকাবস্থায় প্রায় সময় জাকিরের বড় ভাই মনির হোসেন তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রাজিয়াকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয়া শুরু করে। ভাসুরের কুপ্রস্তাবে রাজী না হলে স্বামী জাকিরকে বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে তার সংসার ভেঙ্গে দিবে বলে রাজিয়াকে হুমকি দেয় ভাসুর মনির হোসেন। ভাসুরের এ নোংরা বিষয়ে রাজিয়া তার শাশুড়ি ফরিদা বেগম ও টেলু মিয়া দেওয়ানের স্ত্রী নাছিমা বেগমকে জানিয়েও কোনো সুবিচার পাননি।

এরপর থেকে ভাসুর মনিরের পরামর্শে রাজিয়ার শ^শুর পরিবারের লোকজন তার উপর যৌতুকের অজুহাতে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে। নিজের সন্তানের কথা চিন্তা করে রাজিয়া সকল অত্যাচার সহ্য করতে শুরু করেন।

এক পর্যায়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর ও ২৬ অক্টোবর জমি ক্রয় করার কথা বলে রাজিয়ার পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী জাকিরের পরিবার। এই টাকা না দিলে রাজিয়াকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে এবং খুন করার হুমকি দিতে থাকে এবং জাকিরের নির্দেশে তার ভাই মনির, মা ফরিদা বেগম ও নাছিমা বেগম রাজিয়াকে মারধর করে কোলের সন্তানসহ বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

এরপর গত ২৮ অক্টোবর ওই নারীর বাবা সুলতান দেওয়ান স্থানীয়ভাবে একটি সালিস ডাকেন। সালিসে ভাসুর মনির হোসেনের যৌতুকের টাকা বহাল রেখে কথা বলার জন্যে আদেশ দেন জাকিরের পরিবারের অন্য সকলকে। সালিসের মাধ্যমে জাকির ৫ লাখ টাকা না পেলে ওই নারীকে সংসারে নিবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়। এরপরেই রাজিয়া সুলতানা আইনের আশ্রয়ে চলে যান।

রাজিয়া সুলতানার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডঃ আঃ হান্নান কাজী বলেন, আসামীদের নামে আদালত থেকে সমন জারি করা হয়েছে। আশা করি আসামীগণ আদালতে হাজির হবেন।

(ইউএস/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test