E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দিনাজপুরে তাবলীগ জামাতের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ

২০১৭ ডিসেম্বর ০২ ১৪:৪৫:১৯
দিনাজপুরে তাবলীগ জামাতের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : তাবলিক জামায়াতের সবচেয়ে বড় সমাবেশ দিনাজপুর জেলা ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানে প্রায় ৬ লাখ মুসল্লীর অংশগ্রহণে সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ শনিবার ৩য় দিনে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই তাবলিক জামায়াতের সবচেয়ে বড় সমাবেশ দিনাজপুর জেলা ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের অংশ নিতে ইতালীতে রাষ্ট্রীয় কাজে অবস্থানরত দিনাজপুর জেলা সদরের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদেও হুইপ ইকবালুর রহিম দিনাজপুরে এসেছেন। তার রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ৩ ডিসেম্বর দিনাজপুরে ফেরার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি মাতৃকার টানে তার আগেই ছুটে এসেছেন দিনাজপুরে।

আয়োজকদের দাবি ইতিহাসে এটিই সর্ববৃহৎ জামায়াত। যাতে লাখ লাখ মুসল্লী অংশগ্রহণ করেছেন। আজ আখেরি মোনাজাতে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ মুসল্লী অংগ্রহন করতে পাবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন। দিনাজপুর জেলা সদরের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদেও হুইপ ইকবালুর রহিম এ মাঠেই তৈরী করেছেন এশিয়া উপ-মহাদেশের সব চেয়ে বৃহত্তর ঈদের জামাতের মিনার।

গোর-এ শহীদ ময়দানে ইজতেমাস্থলে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য শুক্রবার সকাল থেকেই মুসল্লীরা সমবেত হতে শুরু করেন। দপুর ১টা বাজতে না বাজতেই গোটা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ইজতেমাস্থলের প্যান্ডেলের বাইরে আরও কয়েকগুণ জায়গা জুড়ে মুসল্লীরা জমায়েত হন।

দুপুর পৌনে দু’টায় জুমার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ঢাকাস্থ কাকরাইল জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা মো. রবিউল ইসলাম।

ইজতেমা আয়োজন কমিটির প্রধান (জিম্মাদার) রায়হানুল আমিন চৌধুরী জানান, ইজতেমাস্থলের যে প্যান্ডেল স্থাপন করা হয়েছে তাতে ১ লাখ ৬০ হাজার মুসল্লীর স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা রাখা হয়। কিন্তু শুক্রবারের জুমার নামাজে এই প্যান্ডেল ছাড়িয়ে আরও কয়েকগুণ জায়গা জুড়ে মুসল্লীরা নামাজ আদায় করেছেন। জুমার নামাজে ৬ লক্ষাধিক মুসল্লীর সমাগম ঘটে বলে ধারণা করছেন তিনি।

রায়হানুল আমীন চৌধুরী জানান, শনিবার দুপুরে ১২টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী দিনাজপুর জেলা ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলিক জামায়াতের বৃহৎ সমাবেশ দিনাজপুর জেলা ইজতেমা।

দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার ছাড়াও উত্তরাঞ্চলসহ দেশ-বিদেশের বেশ কিছু এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতসহ সর্বস্তরের মুসল্লিবৃন্দ এই ইজতেমায় অংশগ্রহন করেছেন।

মুসল্লিদের অজু-গোসলের পানি সরবরাহের জন্য ৩০টি টিউবওয়েল, একটি সাবমারসেবল পাম্প, ৩টি মটর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য ৪শ’ টয়লেট তৈরা করা হয়েছে। বিদেশী মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীদের জন্য মাঠের পশ্চিম পাশে খাস কামরা (বিশেষ কক্ষ) তৈরী করা হয়েছে। এই খাস কামরায় আগত বিদেশী মেহমান ও তাবলীগ জামাতের বৃদ্ধ সাথীরা রয়েছেন।

দিনাজপুর তাবলীগ জামাতের আমীর (জিম্মাদার) আলহাজ্ব মো. লতিফুর রহমান জানান, মানুষকে দ্বীনের পথে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই ইজতেমার আয়োজন। মানুষ কিভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীর দিকে রজু হবে, মানুষের মাঝে হক তথা সঠিক পথ কবুল করার যোগ্যতা তৈরী হবে, আখেরাতের জিন্দেগী বা মৃত্যুর পরর্বতী জীবন কেমন হবে এবং কিভাবে মানুষ আখেরাতমূখী হবে এ সব বিষয়ে এই ইজতেমায় বয়ান করা হচ্ছে।এজন্য স্থানীয় প্রশাসন নিয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া হতে আগত একটি জামাত অংশগ্রহণ করছে।

কাকরাইলের মুরব্বিদের মধ্যে মাওঃ জোবায়ের হোসেন, মাওঃ মো. রবিউল হক, মাওঃ মো. মোশাররফ হোসেন ও মাওঃ মো. ফারুক লক্ষীপুরী আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করছেন। এ ছাড়া মুসল্লিদেও উদ্দেশ্যে বয়ান করছেন স্থানীয় তাবলীগ জামাতের মুরব্বিরা।

(এসএএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test