সাতক্ষীরা সীমান্তে দুই কিশোরী উদ্ধার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভারতে পাচারকালে বিজিবি সদস্যরা দু’ কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। সাতক্ষীরার বৈকারী ইউনিয়নের কালিয়ানি সীমান্ত থেকে বৃহষ্পতিবার রাতে তাদেরকে উদ্ধার করে। এ সময় পাচারকারিরা পালিয়ে যায়।

উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা হলো, পটুয়াখালি জেলার গলাচিপা উপজেলার পাতাবিলা ইউনিয়নের লাবনা গ্রামের মনিরুল ফকিরের মেয়ে কামরুন্নাহার(১৫) ও ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার পিছালিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে মায়া সুলতানা (১৬)।

বৈকারী বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার অহিদুল ইসলাম জানান, বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে টহলরত বিজিবি সদস্য কালিয়ানি সীমান্তের শওকত হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এ সময় পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা কামরুন্নাহার ও মায়া সুলতানাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত কিশোরীরা ঢাকায় পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করতো বলতে তাদেরকে জানিয়েছে। তবে মীরপুরের একটি পাচারকারি চক্রের সদস্যরা ভারতে ভাল বেতনের কাজ দেওয়ার নাম করে সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্তের একটি পাচারকারি দলের সঙ্গে চুক্তি করে ওই দু’ কিশোরীকে নিয়ে আসে।

বুধবার রাতে শ্যামলী থেকে একে ট্রাভেলস এর একটি পরিবহনে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়। বৃহষ্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরতলীর কদমতলা বাজারে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার পর কালিয়ানি গ্রামের ছাগাতুল্লার ছেলে আমান (৩৫), একই গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে শওকত হোসেন (৩০) ও বৈকারী বাজারের আবুল হোসেন (৩৫) তাদেরকে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে পাচারের জন্য কালিয়ানি গ্রামের শওকত হোসেনের বাড়িতে রাখা হয়।

উদ্ধারকৃতরা জানায়, তারা ঢাকা মীরপেুর-১ এর লালবানু, সোহাগ, সোনিয়াসহ কয়েকজনের কথামত ভারতে ভাল চাকরি পাওয়ার জন্য সাতক্ষীরা সীমান্তে শওকত, আবুল হোসেন ও আমানের মাধ্যমে সীমান্তে আসে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় বৈকারী বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার অহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেছেন।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭)