E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মির্জাগঞ্জে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ 

২০১৭ ডিসেম্বর ৩০ ১৬:৫১:৩৫
মির্জাগঞ্জে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে গাছ বিক্রির অভিযোগ 

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বৈদ্যপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের সরকারি মালামাল ও অর্থ আত্মসাৎ করেন বিভিন্ন পন্থায়।

অভিযোগে জানা যায়,বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুবাধে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বিদ্যালয়ের সামনে একটি রেন্ট্রিগাছ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেন স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী মোঃ আবদুল বারেকের কাছে। পরদিন সকালে গাছ ব্যবসায়ী লোকজন নিয়ে গাছ কাটা শুরু করলে ম্যনেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদার এসে বাধাঁ দিলে গাছকাটা শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করলে তিনি সহকারি শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং কাটাগাছগুলো জব্দ করে জিম্মায় রাখেন।

এ ব্যাপারে ম্যনেজিং কমিটির সদস্য মোঃ সুলতান হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মোঃ আব্দুল মান্নান হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ৪ জনের নামে অভিযোগ দাখিল করেন। অন্যরা হচ্ছেন-মাহাবুব হোসেন,মোঃ রুহুল আমীন হাাওলাদার ও আব্দুল বারেক ব্যাপারী।

গাছ ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল বারেক ব্যাপারী বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ আমার জানা থাকলে গাছ ক্রয় করতাম না আমি। গাছ নিজের বলে আমাকে ভুল বুঝিয়ে মোঃ মাহাবুব হাওলাদার আমার কাছে গাছ বিক্রি করেন। রাতে বেচাকেনা হয়েছে এবং তাকে ১০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ আবদুল মান্নান বলেন,জমি আমাদের তাই গাছ আমরা বিক্রি করেছি এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবী করলে আমাদের করার কিছু নেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান গাছ বিক্রির কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ ছিলো,তাই মাহাবুব সাহেব গাছ বিক্রি করেন। গাছের কাটা শুরু হলে স্থানীয়রা বাধাঁ দেন এবং তারা তাদের জমির উপর গাছ দাবী করেন। তবে বিদ্যালয়ের জমিজমার সীমানা নির্ধারন করা হয় নায় বিধায় এ সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গাছ বিক্রির বিক্রির ব্যাপারে জানতে পেরে একজন সহকারি অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি এবং গাছ কাটা জব্দ করেন। সে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় গাছ কাটার বিষয় অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ইউজি/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test