E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডিমলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

২০১৮ জানুয়ারি ০৪ ১৫:২৫:০২
ডিমলায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডিমলা সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে বেআইনী ভাবে প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা সহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

মাহফুজুল হক শারিরীক শিক্ষক হলেও নিয়ম বহির্ভুতভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভিতরের গাছ কাটা, সরকারী বিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভুভাবে মোস্তাফিজার রহমান নামে একজন খন্ডকালিন শিক্ষক নিয়োগ, বিদ্যালয়ের ভিতরে কোচিং ব্যবসার অভিযোগ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রেসক্লাব বরাবরে অভিভাবকগন লিখিতভাবে অভিযোগ করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও বিদ্যালয়ে পড়ার পরিবেশ তৈরীর দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যালয়ের মাঠে দীর্ঘদিনের একটি মেহগনী গাছ বেআইনী ভাবে কর্তন করে বিদ্যালয় ভবনের পিছনে লুকিয়ে রেখে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক তা বিক্রির পায়তারা করছে।যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৩০হাজার টাকা। এবং তিনি নিয়ম বহির্ভুতভাবে খন্ডকালিন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতরে চালাচ্ছে রমরমা কোচিং বানিজ্য। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়টি সুনাম খুন্ন করার লক্ষে বিদ্যালয়ের ভিতরে খন্ডকালনি শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান, বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের দিয়ে সকালে ও বিকালে বিদ্যালয়ের ভিতরে ও রাত্রীকালীন ছাত্রীদের বাসায় দেদারছে কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডিমলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হক বলেন, প্রায় ৫/৬ মাস পুর্বে বিদ্যালয়ের ভিতরে থাকা একটি মেহগনি গাছের অংশ মাঠে ভেঙ্গে পরলে পরে গাছটি কেটে রাখা হয় । তবে তখন আমি প্রধান শিক্ষক ছিলাম না ।

আমি গত বছর আগস্টের প্রথমদিন হতে দায়িত্ব পেয়েছি । পুর্বের প্রধান শিক্ষকের সময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকের কমতি থাকায় বহিরাগত দুজন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হয়েছিল । বর্তমানও প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক অনেক কম, তাই আমিও যদি বহিরাগত কাহারো সহয়োগীতা নেই তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলেই নিব-বলেন তিনি ।

নীলফামারী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনও আসেনি। আসলে তদন্ত করা করা হবে। তিনি আরও বলেন সরকারী প্রতিষ্ঠানের গাছ কর্তন করতে হলে জেলা ও উপজেলা কমিটির অনুমোদন নিতে হয়।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই অভিযোগে পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।

(এমআইএস/এসপি/জানুয়ারি ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test