E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাঁশের সাঁকো নির্মানে সহযোগিতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

২০১৮ জানুয়ারি ০৭ ১৭:২০:৪৬
বাঁশের সাঁকো নির্মানে সহযোগিতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : নৌকায় নদী পারাপারে জনদুর্ভোগ কমাতে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাঁশের স্যাঁকো নির্মানে সহযোগিতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে শ্রীদাম বিশ্বাস।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি শ্রীদাম বিশ্বাস বলেন,দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দকাটির কুলতলী খেয়াঘাটটি জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান বাংলা ১৪২৪ সনের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ইজারা নেন। পরে তাক ও একই গ্রামের গোলাম মুরশীদের ছেলে রবিউলকে পারাপারের খাজনা আদায়সহ সকল তদারকির দায়িত্ব দেন। তারপর থেকে তারা দু’জন সেই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তিনি আরো জানান, ওই খেয়াঘাট দিয়ে দক্ষিণ শ্রীপুর, বিষ্ণুপুর, কুশুলিয়া, কৃষ্ণনগর, তারালীসহ কয়েকটি ইউনিয়নের মাছ চাষী, ব্যবসায়ি, শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবিসহ প্রায় চার/পাঁচ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এখানে সাঁকো বা ব্রীজ না থাকায় যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ বেশি পড়ে।

সাইকেল ও মোটর সাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। ভুক্তভোগীদের সমস্যার কথা চিন্তা করে তারা গত বছরের জুন মাসের শেষের দিকে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দের অনুমতি সাপেক্ষে সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্মাণ শুরুতেই স্থানীয় দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার বাঁশের সাঁকো নির্মিত হলে অন্য এলাকার সন্ত্রাসীরা এলাকায় ঢুকে স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপন্ন করবে এমন ঠুনকো অভিযোগ তুলে তার পক্ষের কতিপয় লোকজনকে সাথে নিয়ে বিরোধিতা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে কালিগঞ্জ থানায় বসাবসি হয়।

প্রশাসনকে সাঁকো নির্মাণে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানান, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক সরদার, সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন পাল।

থানার সিদ্ধান্ত না মেনে প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পরপরই চেয়ারম্যান মহোদয় রাতের আঁধারে ওই সাঁকো পর্যায়ক্রমে করাত দিয়ে কেটে ও ভেঙে নষ্ট করে দেন। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তারা আর বেশি দূর এগোতে পারেনি। তিনি আবারো ওই সাঁকো নির্মাণ করে জনদুর্ভোগ কমাতে চান।

জনস্বার্থে এ সাঁকোর নির্মান কাজ যাতে কোন কু’চক্রীমহল বন্ধ করে দিয়ে আবারো তাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে সেজন্য সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে সকল সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সকল স্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

জানতে চাইলে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার বলেন, তিনি জনপ্রতিনিধি। তাই তাকে জনগণের ভাল মন্দ নিয়েই চিন্তা করতে হয়। তাই বেআইনিভাবে কোন কাজ করার চেষ্টা করলে তিনি আবারো তার বিরোধিতা করবেন।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test