E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সরকারি রাস্তা কেটে মামলা দায়ের

২০১৮ জানুয়ারি ১২ ১৫:১৯:১৫
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সরকারি রাস্তা কেটে মামলা দায়ের

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সরকারি রাস্তা কেটে ফেলে পক্ষকে ঘায়েল করতে উল্টো উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন মনির হোসেন। 

এমন একটি ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের হাজি বাড়ির পিছনে গত ২৬ ডিসেম্বর। আদালত আসামিদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিস ও স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।

আসামি মোঃ আলতাফ হাওলাদার বলেন, উপজেলার দক্ষিন কলাগাছিয়া গ্রামের মৃত-আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ মনির হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। আমাদের একটি আধাপাকা ঘর উঠানোর কথার বিষয়ে মিস্ত্রী মনির হোসেনরে সাথে কথা হয়। তাকে এক কাজটি না দেয়ার কারণে মনির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের চলাচলের জন্য সরকারি রাস্তা কেটে ফেলে যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। এতে রাস্তায় পাশে যেটুকু মাটি রয়েছে তাতে চলাচল দায় হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এ এলাকার শতাধিক লোকজন। মাটির কাটার সময়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইউনুচ আলী বাধাঁ দিলেও তাতে তিনি কর্নপাত করেননি। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানকে মুঠোফনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

ইউপি সদস্য বলেন, এ রাস্তাটি ৩০ বছর আগে তৎকালিন ৫নং কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের পেসিডেন্ট মোঃ আজাহারুল ইসলাম রাস্তাটি নির্মান করেন ও সাবেক গনি চেয়ারম্যান রাস্তাটি ১৯৮৬ সালে পূর্ন নির্মান করেন এবং এ থেকে এলাকার মানুষজন রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এ রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ ও পার্শ্ববর্তী একটি স্বতন্ত্র ইফতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন চলাচল করছে।

এ অর্থ বছরে চল্লিশ দিন কাজের মাধ্যমে রাস্তাটি মেরামতের কাজ চলছে। রাস্তার মাটি কেটে ফেলায় সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটেছে। মনির হোসেন স্থানীয় কিছু কুচক্রি মহলের কথা শুনে রাস্তার মাটি কাটেন এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসানো ও হয়রানী করার লক্ষে একটি মিথ্যা মামলা করেছে। মামলার নোটিস আসামিদের দিতে আসা নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কর্মচারী এ ঘটনা দেখে বিস্মৃত হয়ে যান এবং এহেন কাজের জন্য তাকে ধিক্কার জানান।

এলাকার লোকজন মনির হোসেনের অত্যাচারে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এবং তার ভয়তে কেউ কোন কিছু করতে সাহস পাচ্ছে না। এরজন্য স্থানীয় লোকজন প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ওই গ্রামের একমাত্র রাস্তাটিতে বর্তমানে মাটির কাজ চলছে এবং রাস্তার পাশে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খাদাগুলো সেচ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে পানি শুকিয়ে গেলে মাটি কেটে চলাচলের জন্য বেধেঁ দেয়া যায়। তবে সরকারি রাস্তা কেটে থাকলে আমি সরেজমিনে ঘটনা দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

এ ব্যাপারে বাদি মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমি কোন সরকারি রাস্তা কাটেনি। আমার জমির মাটি আমি কেটেছি। এতে কোন সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়নি।

(ইউজি/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test