E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দিনাজপুর হাড় কাঁপানো শীত 

২০১৮ জানুয়ারি ১৩ ১৫:১৯:৫৬
দিনাজপুর হাড় কাঁপানো শীত 

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুর । হিমালয়ের পাদদেশ থেকে নেমে আসা শৈত প্রবাহ ও হিমেল হাওয়া বইছে। ফলে শীদের তীব্রতা বেশী অনুভুত হচ্ছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস আজ শনিবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ১০০ শতাংশ। জেঁকে সবা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশী দূর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। তারা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা।

প্রচন্ড শীতে যবুথবু অবস্থা এ জেলার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানষের বেড়েছে চরম দূর্দশা। ঠান্ডার কারণে বের হতে পারছেন না তারা ঘরের বাইরে। শীত ও তীব্র শৈত্য প্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। এর পরও বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।

কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের ঝাপ্টা শীতেরর মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। হাঁড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে দিনাজপুরের ছিন্নমূল মানুষ। বিশেষ করে এ জেলার রেল স্টেশনসহ বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নেয়া ছিন্নমূল মানুষ অনেক কষ্টে দিন যাপন করছেন।জেলার ছিন্নমূল মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছেন ধনীদের দিকে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ।শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই নেই পশু পাখিদেরও। আয় কমে গেছে দিন মজুরদের।

দিনাজপুর জেলার শীতার্ত মানুষকে তীব্র শীতের প্রকাপ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসন প্রায় ৭৭ হাজার পিস শীতবস্ত্র কম্বল এবং ৩ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছে।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।

প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রানভান্ডার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত ও গত অর্থ বছরের জেরসহ ৭৯ হাজার ৪’শ ৭০ পিস শীতবস্ত্র কম্বল পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত জেলার ১৩ উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ৭৬ হাজার ৮’শ ২০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিতরণ করা হয়েছে ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। বর্তমানে জেলায় ২’ হাজার ৬’৫০ পিস কম্বল এবং ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

শীতার্ত মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে শুধু সরকারি সাহায্যই যথেষ্ট নয় বেসরকারি উদ্যোগও জরুরি এমনটাই প্রত্যাশা শীতার্ত মানুষদের।

(এসএএস/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test