E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাটোরের জনসভায় এক মঞ্চে তিন সাংসদ

২০১৮ জানুয়ারি ১৮ ১৮:৩৬:৪৬
নাটোরের জনসভায় এক মঞ্চে তিন সাংসদ

অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায়  প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করেছে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বেশ শক্তভাবে সংগঠনের হাল ধরে রেখেছেন।  ওই দিন এক মঞ্চে তিনি সহ নাটোর-২ সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মঞ্চ থেকে ওই তিন সাংসদ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মত্যাগ ও শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে আবারও নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন। এসময় উপস্থিত জনতা হাত তুলে ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান তুলে তাদের সমর্থন প্রদান করেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতার লোভে রাজনীতি নয় দলকে ভালবেসে রাজনীতি করতে হয়। নেতৃবৃন্দের দাবি দুই একজন ক্ষমতালোভী নেতা নিজেরা সংসদ সদস্য হওয়ার লক্ষে সাংগঠনিক নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভক্তি হয়ে নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা দলের মধ্যে কোন্দল তৈরী করে নিজেরাই বিরোধীদলের মতো আচরণ করছে। আর এতে করে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ সকলকে ক্ষমতার লোভ ছেড়ে সাংগঠনিক নিয়মে রাজনীতি করে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের আহবান জানান। সকল ভেদাভেদ ভুলে এক কাতারে দাড়িয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি শক্তিশালী করার প্রতি যত্নশীল হতেও নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, গুরুদাসপুরের মেয়র শাহনেওয়াজ আলী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তার অনুসারিদের আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ অঙ্গসংগঠনের নতুন কমিটি গঠন করেছেন। মূলতঃ ওই কমিটিগুলো এখনো অনুমোদনহীন।

বক্তরা আরও বলেন, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নাটোর-৪ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে ওই আসনে আবারো সাংসদ কুদ্দুসকেই দলীয় মনোনয়ন দিতে হবে। সাংসদ কুদ্দুস ৯৬ সালে সফলতার সাথে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে আ’লীগের প্রবীণ এই নেতা ২৫ বছরে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সড়ক, কালভার্ট, ব্রিজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ শতভাগ বিদ্যুাতায়নের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এই জনসভায় নাটোর জেলাসহ গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের সকল নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণই বলে দেয় সাংসদ কুদ্দুসের জনপ্রিয়তার ব্যপকতা। তাই এই আসনে তার বিকল্প আনা হলে আ’লীগের ভড়াডুবির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।

গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ওই জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি পিপি সিরাজুল ইসলাম, শাহজাহান কবির, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি এ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, গুরুদাসপুর উপজেলা সভাপতি এ্যাড. আনিসুর রহমান, বড়াইগ্রাম উপজেলা সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মিজানুর রহমান, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, বনপাড়া পৌর সভাপতি মেয়র কেএম জাকির হোসেন প্রমুখ।

এদিকে গুরুদাসপুরের রাজনীতিতে সাংসদ-মেয়র কোন্দল চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় ১০ জানুয়ারী বুধবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে গুরুদাসপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র শাহনেওয়াজ আলী একই স্থানে একটি জনসভা করে শক্তির মহড়া দেখানোর চেষ্টা করেন। তবে সেখানে তিনি আশানুরূপ ফল পাননি বলে জানান মেয়রের অনুসারীরা। এরই কাউন্টার হিসেবে সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এই জনসমাবেশের আয়োজন করেছেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

(এডিকে/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test