E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরা (২) সদর

আ.লীগের হাফ ডজন প্রার্থী, মাঠে নেই বিএনপি

২০১৮ জানুয়ারি ২০ ১৪:৪৬:১৮
আ.লীগের হাফ ডজন প্রার্থী, মাঠে নেই বিএনপি

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ১৯৭৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা চার দশকের ব্যবধান। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবার নির্বাচিত হলেও আসনটি জামায়াতের ঘাঁটি। গত ২০১৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছিল। এবারও সেই বাস্তবতাকে ধারণ করে হিসাব কিতাব চলছে সংসদীয় আসন সাতক্ষীরা (সদর)-০২ আসন নিয়ে।

জামায়াতের দূর্গ হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরা সদর আসনে আওয়ামী লীগ জোটের হাফ ডজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। ক্ষমতাসীন জোটের এসব নেতারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় ফেষ্টুন, ব্যানার ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারে নামলেও বিএনপি ও জামায়াতের তেমন কোন প্রার্থী মাঠে দেখা যাচ্ছে না। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সাতক্ষীরা সদর আসনে বিএনপিতে চলছে রীতিমত প্রার্থী সংকট। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি রহমতউল্লাহ পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তারিকুল হাসান অন্য আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী হওয়ায় দলটির মধ্যম সারির দুই-একজন নেতার নাম প্রচারে থাকলেও মাঠে তাদের দেখা মিলছে না।

গত ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও পরবর্তী সময়ে জামায়াত এ জেলায় নারকীয় তান্ডব চালায়। নাশকতার অভিযোগে জামায়াতের জেলার শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের নামে একাধিক মামলা হয়। নাশকতার এসব মামলায় জামায়াতের অধিকাংশ নেতা হয় জেলে, না হয় পালিয়ে আছে। জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক যুদ্ধাপরাধী মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।

জামায়াতের দূর্গ এখন বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদর আসনে দীর্ঘদিন যাবত জামায়াতের কোন ধরনের তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে দলের জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি থাকায় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মনে করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আসনটি বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হলেও সাংগঠনিক ভাবে দলটি তেমন কোন শক্ত ভীত গড়ে তুলতে পারেনি। জাতীয় পার্টির (এরশাদ) এ আসনে একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। নির্বাচনে জাতীয় পার্টির একজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ তিন জন প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও তারা ধীরগতিতে এগোচ্ছেন। জোট-মহাজোটের আসন ভাগাভগিতে আসনটি আবারও জাতীয় পার্টির ঘরে যেতে পারে বলে এলাকার সাধারণ ভোটাররা মনে করেন।

সাতক্ষীরা সদর আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি জয়লাভ করেন। কিন্তু দলীয় নেতাদের মধ্যে সমম্বয়হীনতা,দ্বিধাবিভক্তির কারণে ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে তেমন শক্তিশালী হতে পারেনি। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি , সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মনসুর আহমেদ। তার আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে নেতা-কর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ দলের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলীয় কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব কারন সামনে রেখে বিরোধীরা নির্বাচনী মাঠে সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা (সদর)-২ আসন। এ আসন থেকে মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। তিনি এবারও মনোনয়ন পেতে গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠকসহ নানা উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের সাথে নিজিকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। এক কথায় মনোনয়ন পক্ষে রাখতে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে রেখে কাজ করছেন মরিয়া হয়ে।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাশী। এই আসনে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফলাফল পক্ষে আনতে পারেননি। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। একজন সৎ মানুষ হিসেবে তার রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। তবে তার ভাই হাবিব ফিংড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি যুদ্ধাপরাধী মামলায় জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল রায় ঘোষনার আগে ও পরে হাবিবের নেতৃত্ব জেলা জুড়ে যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রভাব পড়ে নজরুল ইসলামের উপর। হাবিব সাতক্ষীরার মোস্ট ওয়ান্টেড হয়ে মা ও ভাই এর জানাজায় এসে যেভাবে নজরুল ইসলাম ও পুলিশের সামনে জামায়াত শিবিরের হেলমেট পরিহিত স্কোয়াড নিয়ে যেভাবে চলে যান তা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন চাইবেন। দলের হাইকমান্ড চাইলে আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হয়ে জয়ী হবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবুও মনোনয়ন পাওয়ার জন্য লড়াই করছেন। মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন। সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। এলাকার তরুণ ও যুবসমাজের মঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহম্মেদও দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জেলা সদর থেকে পাড়া মহল্লার নেতা কর্মীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগযোগ রাখছেন। ব্যক্তি উদ্যোগে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে। সর্ব মহলে তার সুনাম ও পরিচিতি আছে। তিনি সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একাধিকবার সভাপতি নির্বাচিত হন। সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত কালের চিত্র পত্রিকার তিনি প্রকাশকও সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ও ভূমিহীনদের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জানান, দলের হাইকমান্ড তাকে মনোনয়ন দিলে সততার সাথে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে জেলাকে এগিয়ে নিতে পারবেন।

মো: শওকত হোসেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনিও বেশ আগে থেকেই শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচারনা। দলের নেতাদের মধ্যে একে অপরের সাথে অশান্তি থাকলেও তার সাথে দুরত্ব নেই কর্মী বা সমর্থকদের। কাছের মানুষ হিসাবে সবার কাছে তিনি পরিচিত মুখ। দলের দু:সময় গুলোতে তিনি কান্ডারির মতো দলকে পরিচালনা করেছেন। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানান, মনোনয়নের জন্য নেত্রীর কাছে দাবি আছে। তিনি মাঠের কর্মীদের ভালোবাসেন। তিনি মনোনয়ন পেলে এলাকার সব শ্রেনী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে এলাকার উন্নয়নে জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও কাজ করে যাবেন।

সদর আসনে বিএনপি থেকে এবার কে মনোনয়ন চাইবেন তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। দলের বর্তমান জেলা সভাপতি রহমতুল্ল¬াহ পলাশের প্রথম পছন্দ সাতক্ষীরা-৩ ( দেবহাটা,আশাশুনি, কালিগঞ্জের আংশিক) আসন। কারণ সভাপতির মরহুম পিতা সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম মনসুর আলী সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা-কালিগঞ্জ) আসন থেকেই একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হন। বিধায় তার মূলটার্গেট সদর আসন নয়। রহমতুল¬াহ পলাশ বলেন, পিতার আসনটি তো তার মূল টার্গেট হওয়া উচিত। সদরে তো তার বাড়ি রয়েছে। ছোট বেলা থেকে জেলা শহরেই বেড়ে ওঠা। তবে দলের চেয়ারপার্সন মনে করলে তিনি সদর আসনেও প্রার্থী হতে পারেন।

তবে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাসকীন আহমেদ চিশতির বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে শোনা যাচ্ছে। গত পৌর নির্বাচনে তিনি আ,লীগ দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। জেলার সর্বত্রই রয়েছে তার সুনাম। ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি সব মানুষের মন জয় করে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন বলে দল ও এলাকাবাসি জানান। দলের হাই কমান্ডেও রয়েছে তার শক্তিশালী যোগাযোগ।
চিশতি বলেন, দলের চেয়ারপার্সন তার সততা কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে মনোনয়ন দেবেন। মনোনয়ন পেলে তিনি জয়ী হয়ে মানুষের কল্যানে কাজ করে জেলাকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকবেন।

এ ছাড়া জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ, বর্তমান সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুক, সাবেক পৌর মেয়র এম এ জলিল, লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমের নাম শোনা গেলেও তাদের কেউ মাঠে নেই। কোথাও কোন ফেষ্টুন, লিফলেট, ব্যানার এখনো চোখে পড়েনি। এক কথায় মাঠ পর্যায়ে বিএনপির কোন প্রার্থীর খোঁজ নেই। এ আসনে যোগ্য প্রার্থীর সংকট ভূগছে দলটি।

এ আসনে জাতীয় পার্টির একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এম এ জব্বার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে শয্যাশায়ী। বিধায় এই আসনটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মাতলুব হোসেন। তিনি ইতিমধ্যে প্রচারে নেমেছেন। বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যে গণসংযোগ করছেন। জেলা শহরসহ আশপাশে ফেষ্টুন, ব্যানার টাঙ্গিয়ে জানান দিচ্ছেন আগামী নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন।

এছাড়া দলীয় মনোনয়নের জন্য কাজ করছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন। গত পৌরসভা নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী হয়ে পরাজিত হলেও তার একটি ভালো ইমেজ রয়েছে। জেলা শহরসহ আশপাশে ফেষ্টুন, ব্যানার টাঙ্গিয়ে তিনিও জানান দিচ্ছেন আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদ , বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুজ্জামান আশু দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং করছেন।

জামায়াতের শক্ত ঘাটি হিসেবে পরিচিত হলেও পরপর দুই বার আসনটি তাদের হাত ছাড়া। যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও কাদের মোল্যার ফাঁসির রায় কে ইস্যু করে ২০১৩ সালের জামায়াত সাতক্ষীরাতে নারকীয় তান্ডব চালায়। নাশকতার অভিযোগে জামায়াতের (জেলার) শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় নেতা-কর্মীদের নামে একাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তারা হয় পলাতক, নাহয় জেলখানায়। মাঠে তাদের কোন তৎপরাতা নেই বললেই চলে।

এই আসনে ২০০১ সালে সর্বশেষ তাদের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি জেলা জামায়াতের আমীর। প্রায় দুই বছর আগে থেকেই তিনি যুদ্ধাপরাধীর মামলায় কারাগারে। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে যার নাম প্রচার রয়েছে তিনি হলেন জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দেস আব্দুল খালেক। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক নাশকতার মামলা। তিনিও এলাকা ছেড়ে দীর্ঘদিন পলাতক। এসব কারণে জামায়াতের কোন প্রার্থী মাঠে নেই। তাদের দলীয় কোন কর্মকান্ড চোখে পড়ছে না। মামলার কারণে দলীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test