E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেন্দুয়ায় সার সরবরাহে ডিলারদের অনিয়ম, অভিযুক্তদের শোকজের নির্দেশ 

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৮:২৭:৫৪
কেন্দুয়ায় সার সরবরাহে ডিলারদের অনিয়ম, অভিযুক্তদের শোকজের নির্দেশ 

কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় বি.সি.আই.সির সার ডিলারের সংখ্যা ২০ জন। ফ্যাক্টরী থেকে সার উত্তোলন করে কতিপয় ডিলারদের সার সরবরাহে অনিয়ম থামছেই না।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা কৃষি বিভাগের যোগসাজসে এসব অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না। জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন সুলতানার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় সার সরবরাহে অনিয়ম দূর করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি উঠে।

স্থানীয় এমপি মনোনীত ডিলার প্রতিনিধি মো: এনামুল হক ভূঞা, এমপি মনোনীত কৃষক প্রতিনিধি আলতাব হোসেন ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা সার নিয়ে অনিয়ম বন্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি তুলেন। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দ্র কুমার মহাপাত্র সভার এ দাবীকে উপেক্ষা করে উত্থাপিত অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় তিনি নিজেই দায়সারা গোচের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে অভিযুক্ত ডিলাররা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে আতাত করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসে কেন্দুয়া উপজেলার ২০ জন বি.সি.আই.সি সার ডিলারদের অনুকুলে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ২শ মেট্রিকটন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জানুয়ারি মাসের সার সরবরাহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৪শ মেট্রিকটন। ভরা মৌসুমে যারা সার সরবরাহ কম এনেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফেব্রুয়ারী মাসে আবার তাদের নামে নতুন করে সার বরাদ্ধ দিচ্ছেন বলেও জানা যায়।

জানুয়ারি মাসে যেসব ডিলাররা সার সরবরাহে অনিয়ম করেছে এদের মধ্যে একই পরিবারের ৩টি ডিলারশীপের মধ্যে এস.এস এন্টারপ্রাইজ, কৃষি বিতান ও তালুকদার এন্টারপ্রাইজের নামই উল্লেখযোগ্য।

শুক্রবার কৃষি বিতানের ডিলার সজলুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানুয়ারি মাসে সার সরবরাহ কম এনেছেন কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালুকদার এন্টারপ্রাইজের সার কিছুটা কম এসেছে। শতভাগ এসেছে কৃষি বিতান ও এস.এস এন্টারপ্রাইজের।

তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে আমাদেরকে বরাদ্দ কম দেয়া হয়েছে। কেন কম দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কম দেয়া হলেও আমরা খুশি আছি।

এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা চন্দন কুমার মহাপাত্রের কাছে সারের অনিয়ম বন্ধে তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করার এখতিয়ার আমার নেই, এই এখতিয়ার ইউ.এন.ও স্যারের।

জানুয়ারি মাসে সার সরবরাহ কম ও তদন্ত কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মুকতাদিরুল আহমেদ বলেন, যে সব ডিলারগণ জানুয়ারি মাসে সার সরবরাহ কম এনেছেন বা অনিয়ম করেছেন তাদেরকে শোকজ করার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে মৌখিক ভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া তদন্ত কমিটি গঠনের কোন প্রস্তাব কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে আমার কাছে এলে অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে।

(এসবি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test