E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজগরের পরিবার হামলা-মামলার শিকার

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৬:০৯:৩৫
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজগরের পরিবার হামলা-মামলার শিকার

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে শহীদ হন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির কাচারীপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগরের ছোট ভাই মন্টু ফকীরের পরিবার এখন জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলা-মামলার শিকার হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন।

জানা যায়, চরঝিকড়ী মৌজার খতিয়ান নং ৯৮৮৬, ডিপি ৩২৩৩, আরএস ৯৭০, সাবেক দাগ নং ৩৯০৯, হালদাগ নং ১০১৩৮ এর ২৪ শতাংশ জমির মধ্যে ৮শতাংশ জমি মন্টু ফকীরের বসতভিটা। প্রতিপক্ষ রহিম ফকীর গংরা নানা অজুহাতে ওই জমির কিছু অংশ বিভিন্ন সময়ে জবর দখল করে নেয়। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে জমি মাপজোখ করে সীমানা নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ রহিম ফকীর গংদের সাড়া না মিললে বিরোধ চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

জানা যায়, ২০১২ সাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মন্টু ফকীর তার বৈধ ওয়ারিশী সম্পত্তি জবরদখলকারীদের কবল থেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে ধর্না দিয়ে কোনো প্রতিকার পান নাই। সর্বশেষ গত বছরের অক্টোবর মাসে মন্টু ফকীরের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাবাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আলিম বিবাদী পক্ষের রহিম ফকীর, শুকুর ফকীর, টুকু ফকীর, লুকু ফকীর ও লিয়াকত আলী ফকীরকে বারবার নোটিশ প্রদান করলেও বিরোধ মীমাংসার জন্য বিবাদীরা ইউনিয়ন পরিষদের হাজির হন নাই। এ ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আলিম বাদী পক্ষের জায়গা-জমি নিয়ে সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রত্যয়নপত্র দেন।

এদিকে গত ৬/১১/২০১৭ তারিখ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিবাদীরা মন্টু ফকীরের সম্পত্তির সীমানার আরো কিছু অংশ জবর দখল করে পাটখড়ি ও বাঁশের বেড়া দেয়। পর্যায়ক্রমে বাড়ীর সামনে পথে ময়লা আবর্জনা ফেলে চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

এ নিয়ে মন্টু ফকীর পাংশা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য বিবাদীরা সময়ক্ষেপন করে। সর্বশেষ গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিরোধপূর্ণ জায়গা-জমির মাপজোখের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম, হাবাসপুর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ শহিদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ও লিয়াকত আলী খানসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত হলেও বিবাদী পক্ষের রহিম ফকীর গংদের অসহযোগিতার কারণে জায়গা-জমির কোনো মাফজোখ করা সম্ভব হয় নাই। বরং প্রতিপক্ষের রহিম ফকীর গংরা মন্টু ফকীর গংদের উপর চড়াও হয় এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগরের নামে রাস্তার স্মৃতিফলক ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের কমবেশী ১০জন আহত হয়।

বর্তমানে মন্টু ফকীরের চাচাতো ভাই আহত আব্দুর রাজ্জাক ফকীর, রাজিবুল ফকীর, রাকিবুল ফকীর ও ভাতিজা সাগর ফকীর পাংশা হাসপাতালে এবং রহিম ফকীর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগরের ছোট ভাই মন্টু ফকীর ও তার পরিবারের লোকজন আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন বলে জানান মন্টু ফকীরের ছেলে রেজাউল ফকীর।

(এমএইচ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test