নানা প্রতিকূলতায় ৩ শতাধিক শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যহত!

পাবনা প্রতিনিধি : ছুটির ঘন্টা পড়ে না। যে স্কুলে- বেঞ্চের অভাবে মাটিতে বসেই ক্লাস করে শিশুরা, পাঠ্য বই, খাবার পানি, টয়লেট সংকট। যদিও স্কুল ঘরে’র  চারপাশে নেই কোন বেড়া, উপরের চাল থাকলেও ভাঙ্গা ও ফুটোয় ভরা; বৃষ্টি হলেই ভিজতে হয় শিক্ষার্থীদের। বর্ষা এলে পানিতে তলিয়ে যায় বিদ্যালয়। নৌকায় বসে করতে হয় পাঠদান। এ সব নানা প্রতিকূলতায়  পাবনার গাজনার বিল অধ্যুষিত তিনটি গ্রামের কোমলমতি তিন শতাধিক শিশু’র প্রাথমিক শিক্ষা ব্যহত হচ্ছে ।

স্থানীয় সমাজ সেবক মনজুর রহমান নিজ প্রচেষ্টায় স্কুলটি গড়ে তুলেছেন । পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নের গাজনার বিল অধ্যুষিত দুড়িয়া,ধুলদী ও নুরুদ্দিনপুর দোপপাড়া এ’তিনটি গ্রামের জেলে ও কৃষিজীবী প্রায় ৮ হাজার পরিবারের বসবাস।

এ সকল পরিবারের কোমলমতি সন্তানদের ৩ কিলোমিটার পথ হেটে গিয়ে কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ অত্যান্ত দূরহ। এ কারণে গাজনার বিল অধ্যুষিত দুরিয়া,ধুলদী ও নুরুদ্দিনপুর দোপপাড়া এ’তিনটি গ্রামের শিশুদের জন্য ২০১৫ সালে নিরক্ষরতা দূর করতে প্রতিষ্ঠিত হয়- স্থানীয় উদ্যোগে ‘দুড়িয়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।

৪ জন শিক্ষক ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীর এ বিদ্যালয়টি বর্তমানে নানা সমস্যা আর সংকটের মুখে বন্ধ হতে বসেছে। এমতাবস্থায় বে সরকারি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি করণের জোর দাবি এলাকাবাসী, শির্ক্ষাথী ও অভিভাবকদের। তা না হলে অচিড়েই ঝড়ে পড়বে স্কুল মুখি ৩ শতাধিক কোমলমতির প্রাথমিক শিক্ষা। এমতাবস্থায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

হাটখালি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন দুড়িয়া, ধুলদী অত্যান্ত হত দরিদ্রদের- প্রত্যান্ত এলাকা, ওই স্কুলটি সরকারি করণ করলে নিরক্ষরতা দূরীকরণ নিশ্চিত হবে। এবং আমার দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার আশাটাও পূরণ হবে।

পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম বলেন সরকারি প্রকল্পের সাথে সমন্বয় করে যে কোন উদ্যেগ গ্রহণ করলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করবো। কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতায় আমরা প্রতিশ্রতি বদ্ধ। দুড়িয়া বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’টি সরকারি করণের মাধ্যমে ৩ টি গ্রামের কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়–ক এ প্রত্যাশা সকলের।

(পিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮)