E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাঙ্গাবালীতে বিদ্যালয় জাতীয়করণেও কাটেনি দৈন্যদশা!

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ২৬ ১৪:৩৭:১৩
রাঙ্গাবালীতে বিদ্যালয় জাতীয়করণেও কাটেনি দৈন্যদশা!

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সাগর পাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের একটি সুবিদা বঞ্চিত বিদ্যালয়ের নাম পশ্চিম চরলক্ষ্মী গাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জাতীয়করণের তিন বছর পেড়িয়ে গেলেও চালু হয়নি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা। লাঘব হয়নি শ্রেণী কক্ষ সংকট। নড়বড়ে টিনশেডের দো’চালা ঘরটিতে পাঠদান দিচ্ছে শিক্ষকরা। নামের সাথে সরকারি শব্দটির ব্যবহারে যেন কাটেনি দৈন্যদশা। তাইতো এক যুগেরও বেশি সময়ে সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষকরা করছে মানবেতর জীবনযাপন ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পশ্চিম চরলক্ষ্মী গাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২জন শিক্ষার্থী রয়েছে। চার কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ঘরের একটি লাইব্রেরী এবং বাকি তিনটি শ্রেণী কক্ষ। তাতে দুই দফায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করানো হয়। তবে শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারণে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই টিনশেড কক্ষগুলোর মেঝেতে পানি পড়ে। আবার বাতাসে নড়বড় করে। লাগাতার বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের চারপাশ পানিতে তলিয়ে যায়।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী রিনা আক্তার বলে, ‘টিনের ভাঙা রুমে ক্লাশ করি, বৃষ্টি ওইলে পানি পড়ে। সব স্কুলে সরকারি বিস্কুট দেয়, আমাগো স্কুলে হেই বিস্কুটও দেয় না।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১০ বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারির তৃতীয় ধাপে এ বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করা হয়। এরই ধারাবিহগতায় ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে খসড়া গেজেট প্রকাশিত হয়। তবে তিন বছর অতিবাহিত হলেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালু হয়নি। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইয়্যেদুর রহমান জানান, বিদ্যালয় সরকারি হলেও শিক্ষকরা বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। কোন রকম টিনশেডে ক্লাশ নিচ্ছি। এলজিইডির লোকজন বিদ্যালয়ের ছবি দিতে বলেছিল, ছবিও দিয়েছি কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোন ফল পাইনি। এমনকি প্রত্যেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিস্কুট দেওয়া হলেও এই বিদ্যালয় দেওয়া হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম সগির জানান, ওই বিদ্যালয়ে টিনশেডে ক্লাশ নিতে সমস্যা হওয়ায় একটি ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। দ্রুত বিদ্যালয়টিতে সরকারি বিস্কুট বিতরণ চালু করা হবে। চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হলেই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পাবেন।

(এসডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি, ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test