E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফুলবাড়ীতে ফেন্সিডিল-দেশীয় অস্ত্রসহ আটক পাঁচ

২০১৮ মার্চ ১৪ ১৬:৪৩:৩৭
ফুলবাড়ীতে ফেন্সিডিল-দেশীয় অস্ত্রসহ আটক পাঁচ

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়উ উপজেলার পাঠকপাড়া (মাছুয়াপাড়া) গ্রামে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় মাদক উদ্ধারসহ মাদক ব্যবসায়িকে আটকের ঘটনায় দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কনস্টেবলরা হলেন শাহাজুল ইসলাম (৪০) (কং নং ১০১৪) ও ফরহাদ হোসেন (৩০) (কং নং ১০৮৩)।  

এ ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ীসহ পাঁচজনকে আটক করার পাশাপাশি ২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও দেশিয় কিছু অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, ওইগ্রামের তরণী কান্ত দাসের তিন ছেলে বিপ্লিস দাস (৩২) বিলাস দাস (৩০) ও বিপন দাস (২৫), লক্ষ্মীকান্তের দুই ছেলের সনাতন (৩০) ও তপন চন্দ্র (২৪)।

থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, ফেন্সিডিল মজুদ ও বিক্রি করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওইগ্রামের মাদক ব্যবসায়ি বিপ্লিস দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তকে আটক করে।

এ সময় তার পরিবারের লোকজন বাড়ির দরজা বন্ধ করে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে বিপ্লিসকে ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা চালায়। হামলায় উল্লেখিত দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। অবস্থা বেগতিক দেখে থানায় খবর দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ চাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়দের সহায়তা চাওয়া হলে সাবেক ইউপি সদস্য প্রদীপ কুমারসহ প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন।

স্থানীয়দের ওপরও হামলা চালায় ওই পরিবারের লোকজন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে বিপ্লিসের বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে ২৫ বোতল ফেন্সিডিল ও দেশিয় ধারালো অস্ত্র জব্দসহ উল্লেখিত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। ওই রাতেই আহত পুলিশ কনস্টেবলদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বিপ্লিস দাসের স্ত্রী সান্তনা রাণী ও বিলাশ দাসের স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী বলেন, পুলিশ রাতে বাড়িতে ঢুকে কাউকে কোন কিছু না বলেই বিপ্লিস দাশকে আটক করে। বিষয়টি জানতে চাইলে পুলিশ জানায় বিপ্লিস মাদক ব্যবসা করে। পুলিশের কাছে গ্রেফতারী পরোয়ানার কাগজ দেখতে চাইলে পুলিশ তাদের শ্বশুর তরণী কান্ত দাসকে মারপিট করে।

সাবেক ইউপি সদস্য প্রদীপ চন্দ্র তার লোকজন নিয়ে পুলিশের সামনেই বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকজনকে মারপিক করে। পুলিশ বাড়ির পাঁচজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির শাবল, সুপারী কাটা ছোরাসহ কয়েকটি গৃহস্থলি অস্ত্র নিয়ে গেছে। তবে বাড়ি থেকে কোন প্রাকার ফেন্সিডিল কিংবা অন্য কোন মাদক পায়নি।

ওই গ্রামের কার্তিক চন্দ্র ও সাবেক ইউপি সদস্য প্রদীপ চন্দ্র বলেন, পুলিশকে সহায়তা করার জন্যই ওই বাড়িতে তারা গিয়েছিলেন। কাউকে মারপিট করেননি। ওই পরিবার দীর্ঘদিন থেকে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য ফেরাজদুল ইসলাম বলেন, বিপ্লিস আগে মাদকের ব্যবসা করলেও বর্তমানে সে তওবা করে সেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব বলেন, পাঠকপাড়া (মাছুয়াপাড়া) গ্রামের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা রুজু করা হয়েছে। একটি মাদকের এবং অপরটি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। দুই মামলায় নারী ও পুরুষসহ ১১জনকে আসামী করা হয়েছে।

(এসিজি/এসপি/মার্চ ১৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test