E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভাঙ্গুড়ায় পিতার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগ

২০১৮ মার্চ ১৭ ১৯:০০:২৯
ভাঙ্গুড়ায় পিতার বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তানকে নির্যাতন ও ভরণ-পোষণ না দেয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে। শাররীক প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

গত ১৬ জানুয়ারি পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে লুৎফর রহমানের স্ত্রী মোছা. সেলিনা খাতুন হাসি ও তার পুত্র মো. সারোয়ার হোসেন সবুজ বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্তের জন্য ভাঙ্গুড়ার ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজা সুলতানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে দীর্ঘ দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কোন প্রতিকার না পাওয়ায় প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন সেলিনা খাতুন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উচ্চমান সহকারী মো. লুৎফর রহমান।

অভিযোগে জানা যায়, ১৯৮২ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন লুৎফর রহমান-সেলিনা খাতুন। এরপর স্বামীর পৈত্রিক ভিটা বিন্যাবাড়ি গ্রামে বাস করছিলেন। দীর্ঘ এগার বছর পর ১৯৯৬ সালে সেলিনা খাতুন সারোয়ার হোসেন সবুজ নামে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরবর্তীতে তাকে (সেলিনা) না জানিয়ে লুৎফর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং চাটমোহর পৌরসভায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই স্বামী লুৎফর রহমান তাকে (সেলিনা) নির্যাতন শুরু করে।

স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে সেলিনা খাতুনের বাবা জীবিত না থাকায় তার মামা চাটমোহর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন আলীর বাড়িতে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। এরপর ২০১১ সালে সবুজের পায়ে বোন টিউমার ধরা পড়ে। লুৎফর রহমানের অবহেলার কারণে এবং চিকিৎসা খরচ না দেয়ায় টাকার অভাবে সবুজের পা কেটে ফেলতে হয়। অনেক কষ্টে প্রতিবন্ধী ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করান তার মা সেলিনা খাতুন। একাধিকবার স্ত্রী ও সন্তানের অধিকার নিয়ে লুৎফর রহমানের কাছে গেলে তাকে (সেলিনা) মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে তাদের প্রাণ নাশের হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ বলা হয়েছে।

তবে লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘গত বছর তাকে আমি (সেলিনা) ডিভোর্স দিয়েছি। আর ছেলে সবুজকে আমি পড়াশোনা শিখিয়েছি এবং চিকিৎসার খরচ দিয়েছি। তার (সেলিনা) অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ এরপর তিনি সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানান।

অভিযোগকারী সেলিনা খাতুন জানান, ‘ডিভোর্সের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। ৩৬ বছর তার (লুৎফর) সাথে সংসার করেছি। অনেক অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেছি। আমি এর ন্যায় বিচার চাই। আমি এবং আমার সন্তান অধিকার ফিরে পেতে চাই।’

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজা সুলতানার সরকারী মোবাইলে নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

(এমএইচএম/এসপি/মার্চ ১৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test