E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পোরশায় ইউএনওর বিরুদ্ধে যুবককে ঝাঁটাপেটা করার অভিযোগ

২০১৮ মার্চ ২৬ ১৭:৫৯:৪৩
পোরশায় ইউএনওর বিরুদ্ধে যুবককে ঝাঁটাপেটা করার অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ মাহমুদের বিরুদ্ধে নিজ অফিস কক্ষে আটকে রেখে এক যুবককে ঝাঁটাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নির্যাতিত যুবক মোঃ আমানুল্লাহ সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি জেলায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের বৈদ্যপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আমানুল্লাহ জমিজমা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে সমাধান চাইতে রবিবার দুপুরে ইউএনও ফিরোজ মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান।

এ সময় ইউএনও আমানুল্লাহকে সাক্ষাৎ দিতে অনীহা প্রকাশ করেন ইউএনও। এ সময় ওই যুবক ইউএনও অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বিষয়টি মুঠোফোনে তাঁর পরিচিত বড় ভাই সুজন মাহমুদকে জানান।

ওই ব্যক্তি বিষয়টি শুনে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলতে চান এবং মুঠোফোনে ইউএনওকে ধরিয়ে দিতে বলেন। আমানুল্লাহ মুঠোফোনে সুজনের সঙ্গে কথা বলতে অনুরোধ করলে ইউএনও তাঁর হাত থেকে কেড়ে নিয়ে মোবাইলটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। পরে আবার ওই যুবক সুজনকে ঘটনাটি জানালে তিনি তাঁকে ইউএনও অফিসের আশপাশ থাকতে বলে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানায়।

কিছুক্ষণ পর ইউএনও আমানুল্লাহকে তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে তাঁর সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত শুনেন এবং তাঁর সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে ওই যুবক তাঁর কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য পোরশা উপজেলা পরিষদ চত্বর পার হওয়ার আগেই ইউএনও পেছন থেকে ডাক দিয়ে তাঁর কক্ষে যেতে বলেন।

ইউএনওর ডাকে সাড়া দিয়ে ওই যুবক তাঁর কক্ষে ঢুকতেই দরজা বন্ধ করে ওই যুবককে ঝাড়– দিয়ে মারপিট শুরু করেন ইউএনও। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামের মধ্যস্ততায় ওই যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়। এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জেলে পাঠাবেন বলে আমানুল্লাহকে হুমকি দেন ইউএনও ফিরোজ মাহমুদ। ওই যুবক এমন অভিযোগও করেন।

নির্যাতনের শিকার যুবক আমানুল্লাহ বলেন, ‘সাক্ষাৎ করতে চাননি এ কথা ডিসিকে কেন জানিয়েছি এজন্য তিনি আমাকে মারপিট করেছেন। মারপিটের ঘটনা নিয়ে পরে বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে জঙ্গি বানিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবেন বলে হুমকি দেন। এখন আমি আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

বিষয়টি সম্পর্কে পোরশা জানতে চাইলে পোরশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ইউএনওর সঙ্গে আমানুল্লাহ নামে একটি ছেলের কথাকাটাকাটি হয়। আমি জানার পরে দুজনের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছি।’

সোমবার বিকেলে অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও ফিরোজ মাহমুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে (০১৭৮২-৯০১৬৯০) একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউএনওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(বিএম/এসপি/মার্চ ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test