E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত

২০১৮ মার্চ ২৭ ১৮:০৪:০৫
ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাই মৌসুমী আক্তার (৩০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেল চালক নিহতের স্বামী আহত। মুমুর্ষ অবস্থায় স্বামী মোবারক হোসেনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা টাংগাঈল সংযোগ সড়ক বাইচাইল এলাকায় এ মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,টাংগাঈল জেলার নাগরপুর উপজেলার সদরের বাসিন্দা নিহতের স্বামী মোবারক হোসেন। নিজ বাড়ি থেকে মটরসাইকেল যোগে ধামরাইয়ের কালামপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মেসাস্ এম এ বি ইটভাটার সামনে পৌঁছালে,সড়কে পড়ে থাকা পিচ্ছিল কাঁদা মাটিতে, মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে লুটে পড়ে যায়।

মোটরসাইকেলের পিছনে বসে থাকা চালকের স্ত্রী ছিটকে রাস্তার মধ্যে পড়ে যায়। বেপরোয়া গতিতে আসা ইটখোলায় মাটি বহন সরবরাহকারী ট্রাক মৌসুমী আক্তারকে পিছন থেকে চাপাদিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন মৌসুমী। ঘাতক ট্রাকটি আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এব্যপারে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক(ওসি) সোহেল রানা জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

পথচারী মনির অভিযোগ করে বলেন ধামরাই এখন অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি । ইটভাটায় ফসলি জমি খুড়ে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। বেপরোয়া মাটি বহন কারী ট্রাক থেকে রাস্তার উপর পড়ছে। সেই মাটি কেউ অপসারন করেন না । সামন্য বিষ্টি হলেই প্রতিটি সড়ক পিচ্ছিল হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দ্রুতগামী চলন্ত মাটিবাহী ট্রাক আর যাত্রীবাী বাস সহ যে কোনো যানবাহন লাচলের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠে।

যানবাহন ব্রেক করলেও গাড়ি সড়ক পিচ্ছিলের কারনে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে প্রতি নিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। উপজেলা প্রশাসন ইটভাটার কোনো নিয়ন্ত্রন করছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকার ধামরাইয়ে একের পর এক ইটভাটা গড়ে উঠছৈ তিন ও চার ফসলি জমিতে । পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড় পত্র ছাড়াই নির্মাণ করছেন ইটভাটা। অপর দিকে উপজেলা কৃষি অফিস কৌশলে দরখাস্ত নিয়ে চুপ মেরে বসে থাকেন বাধা না দিয়ে।

ইচ্ছে করলেই ইউএনও এই সব ইটভাটা মূর্হুতের মধ্যেই ন্ধ করতে পারেন। তবে অঅজ্ঞাত কারনে উপজেলা প্রশাসনও নিরব। এখন ধামরাইয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের পথে। ব্যাপক ভাবে ফসল উৎপাদন হ্রাস পা্েছ দিন দিন।প্রশ্ন হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন কি করবেন?

সম্প্রতি সরকারি এক নোটশে বলা হয়েছে গ্রামীন অবকাঠামোয় নির্মিত পাকা সড়কে সর্বোচ্চ দশ টন মাল বহন করা যাবে। ধামরাইয়ের প্রতিটি গ্রামের ইউট খোলায় ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চল্লি থেকে পঞ্চাশ টন মাল নিয়েও ড্রাম ট্রাক বেপরোয়া গতিে চলছে। সড়ক নির্মানের পর পরই আবার নতুন ও সংস্কার কৃত সড়ক ভেঙ্গে গর্ত গর্ত হয়ে লা লের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

এলাকাবাসীর দাবি প্রতিনিয়ত এমন সড়ক দূর্ঘটনা বন্ধে মাটির ট্রাক চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রন ও নিতীমালা প্রনয়ন জরুরী হয়ে পরেছে।

(ডিসিপি/এসপি/মার্চ ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test