E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইসলামপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধ

২০১৮ এপ্রিল ০১ ১৭:১৮:৩৩
ইসলামপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধ

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের ইসলামপুরে বালু লুটেরাদের কবলে পড়েছে যমুনা নদী। ২০টির অধিক অবৈধ বালু মহাল থেকে দেদারসে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। নিয়মনীতি বর্হিভুত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় যমুনার বাম তীরের বাঁধসহ ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা পাড়ের পাথর্শী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ, কুলকান্দি ইউনিয়নের কুলকান্দি, চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া ও কাজলা-কাঠমা এলাকায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বছর জুড়ে ২০টির অধিক স্থানে ড্রেজার, বুলগেট মেশিন ও ব্যাকু দিয়ে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বালু উত্তোলন করছে। বালুর মহোৎসব চলায় মোরাদাবাদ এলাকায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধ্বস দেখা দিয়েছে। সামনের বন্যার সময় বাঁধটি ভেঙে যাবার আশংকা করছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, হরিণধরা ও শশারিয়া বাড়ি এলাকায় জেগে উঠা চরে গম, ভুট্রা, পেয়াজ-মরিচসহ ফসল উৎপাদন করে পাথর্শী ও কুলকান্দি ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। প্রভাবশালীদের অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে সম্প্রতি হরিণধরা ও শশারিয়া বাড়ি নামক চর দুটির প্রায় তিন হাজার একর জমি ফসলসহ যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রভাবশালী বালু সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলো জাহিদুল, সাহেব আলী, আব্দুল মান্নান, ফকির আলী খান, বেলাল, নয়ানী শেখ, সুমন শেখ, ধন মিয়া, গেল্লা শেখ, বাহাদুর মাষ্টার, শাপলা রহমান, সামছুল হক, সুমন মন্ডল ও আতিকুর রহমান সরকার। এই সিন্ডিকেট প্রতিদিন হাজার হাজার সেপ্টি বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

মোরাদারাদ ও কুলকান্দী এলাকার কৃষক আফজাল, রাজন, হাসমত আলী ও সুলতান অভিযোগ করে জানান, বালু উত্তোলন বন্ধে ৩’শ ৯৯ ভুক্তভুগি কৃষকের স্বাক্ষরিত স্থানীয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করলেও প্রতিকার পাচ্ছিনা।

পাথর্শী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফত্তেখার আলম বাবলু বলেন, প্রতিদিন বিশাল এলাকাজুড়ে বালু উত্তোলন করায় নদী পাড়ের বসতি ও ফসলি জমি ভাঙন ছাড়াও বালু পরিবহনে রাস্তাঘাটের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে বললেও কাজে আসছে না।

এ ব্যপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, দু একদিনের মধ্যে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test