চাটমোহরে ছাত্রকে মারপিট, শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ 

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : চাটমোহর উপজেলার মহেলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী কর্তৃক ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রকে বেদম মারপিটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে স্কুল মাঠে বিক্ষোভ করে। ছাত্ররা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিক্ষকদের স্কুলে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ইউএনও সরকার অসীম কুমাারের নির্দেশে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক আগামীকাল শনিবার সমাধানের আশ্বাসে শান্ত হয় ছাত্ররা। 

জানা গেছে, গত বুধবার স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী ৮ম শ্রেণীর ছাত্র নাইম উদ্দিনকে মারপিট করে অশ্লীল গালাগালি করেন। চর থাপ্পর, কিল-ঘুষি মেরে ছাত্রের জামা ছিঁড়ে ফেলে।

বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী বলেন,‘আমি একটি থাপ্পড় দিলে ছাত্রটি ভয়ে পড়ে যায় এবং জামা ছিঁড়েছে। কোন মারধর করা হয়নি।’ তিনি বলেন, আমার ছাত্রকে আমি মেরেছি, তাতে সাংবাদিকদের কি।

প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী জানান, ছোট একটি ঘটনা ঘটেছে। একটি থাপ্পর মেরেছে। ইউএনও স্যারের নির্দেশে শনিরার বিষয়টি সমাধান করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে সমাধানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এদিকে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী বেত্রাঘাতে বেশ ক’জন ছাত্রকে আহত করার খবরটি সমকালসহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো।

(এসএইচএম/এসপি/এপ্রিল ০৫, ২০১৮)