E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে রোগীরা

২০১৮ এপ্রিল ০৯ ১৭:২০:২০
ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল অবস্থা, দুর্ভোগে রোগীরা

অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, দিনাজপুর : দপ্তর প্রধানের স্বেচ্ছাচারিতায় ভেঙ্গে পড়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ প্রশাসনিক পর্যক্রম। সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দপ্তর প্রধানসহ কর্মচারিরা অফিস করেন নিজ খেয়ালখুশি মতো। এতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীসহ ভুক্তভোগীরা।

রবিবার (৮এপ্রিল) সোয়া ১০টায় সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএন্ডএফপিও) দপ্তরের বৈদ্যুতিক ফ্যান (পাখা) ঘুরলেও তিনি তখন পর্যন্ত আসেননি। পাশের কক্ষটিতে বসেন প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক। কক্ষের দরজা খুলে বৈদ্যুতিক ফ্যান (পাখা) ঘুরলেও তিনিও আসেননি। অন্যান্য শাখার কর্মচারিদেরও একই অবস্থা দেখা যায়। তবে জরুরি বিভাগে একজন উপ-সহকারীূ কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে (সেকমো) রোগীর ভিড় সামলাতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সেকমো ও কর্মচারি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএন্ডএফপিও) ডা. মো. নূরুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। নিজ খেয়ালখুশি মতো চলছে অফিসে যাওয়া আসা।

ডা. মো. নূরুল ইসলাম ফুলবাড়ীর বাসিন্দা হওয়ায় সরকারি নির্দেশনাকে তোয়াক্কা করেন না। নিজে অফিসে সময় মতো যাওয়া আসা না করার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খোঁদ ইউএইচএন্ডএফপিও সাহেব অফিসে আসেন নিজ খেয়ালখুশি মতো সকাল সোয়া ১০টার পর।

একই অবস্থা প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক মো. জহুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের। জহুরুল ইসলাম দিনাজপুর থেকে যাতায়াত করেন। সকাল ১১টার আগে কোন দিনও অফিসে আসেন না। এ বিষয়ে কেউ বললে অজুহাত দেখিয়ে বলা হয় সিভিল সার্জন অফিসে কাজে গেছেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কর্তাব্যক্তি রোষানলে পড়তে হবে এমন আশঙ্কায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পান না।

প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক মো. জরুহুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, প্রতিদিনই দাপ্তরিক কাজে দিনাজপুর সিভিল সার্জনের অফিসে যেতে হয় বলেই অফিসে আসতে দেরি হয়।

সকাল ৮টা স্থলে সকাল ১০টা ২৪মিনিটে দপ্তরে আসার কারণ সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, দাপ্তরিক কাজ সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বেলা আড়াইটায় শেষ হয়। তবে গতদিন শনিবার (৭ এপিল) বিকেল ৫টা পর্যন্ত দাপ্তরিক কাজ করতে হয়েছে বলেই আজ রবিবার (৮এপ্রিল) অফিসে আসতে দেরি হয়েছে। প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষককে সিভিল সার্জন অফিসে কোন কাজ দেওয়া হয়নি এরপরও কেন অফিসে আসতে দেরি হচ্ছে বুঝছি না। তবে চলে আসবে।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, সরকারি চাকরি করার পরও সময় মতো দপ্তরে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়টি কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। চাকরি করলে অবশ্যই সময় মতো অফিসে উপস্থিত হতে হবে। কর্মকর্তা ও কর্মচারি যেদিন সময় মতো উপস্থিত থাকবেন না, সেদিনের বেতন কর্তন করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসিজি/এসপি/এপ্রিল ০৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test