E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পৌরসভার দায় প্রায় ১১ লাখ

লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুতের বিল বকেয়া ২ কোটি ৫৩ লাখ

২০১৮ এপ্রিল ১০ ১৫:৪৫:৩৪
লোহাগড়ায় পল্লী বিদ্যুতের বিল বকেয়া ২ কোটি ৫৩ লাখ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় সরকারি দপ্তরে পল্লী বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় ১৬ লাখ টাকায় দাড়িয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভায় ১০ লাখ ৬২ হাজার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। 

যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় লক্ষীপাশা সাব জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত উপজেলায় মোট বকেয়া বিলের পরিমান ছিল প্রায় ৪ কোটি টাকা।

লক্ষীপাশা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ১৭ জুলই ২০১৬ সালে যোগদানের পর ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত বকেয়ার পরিমান ২ কোটি ৫৩ লাখে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। তবে সরকারি দপ্তরের বিলগুলি পরিশোধিত হলে বকেয়ার পরিমাণ আরও কমে আসবে।

অফিস সূত্রে আরও জানা যায় চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে বকেয়া ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫০ টাকা, উপজেলা পরিষদের সড়ক বাতির বিল ৭২ হাজার ১৬০ টাকা, লোহাগড়া থানার বকেয়া ২৬ হাজার ৫০৮ টাকা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের বকেয়া ২৩ হাজার ৩৬৫ টাকা, সাবরেজিষ্ট্রি অফিসের বকেয়া ১৮ হাজার ৬৬৪ টাকা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বকেয়া ৭ হাজার ৫২ টাকা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প অফিসের বকেয়া ৭ হাজার ৮১৩ টাকা, উপজেলা সমবায় অফিসের বকেয়া ৫ হাজার ৮৩৩ টাকা, মৎস্য অফিসের বকেয়া ২ হাজার ৬২২ টাকা, এলজিইডি আফিসের বকেয়া ১৪ হাজার ৮৪৯ টাকা, মহিলা বিষয়ক অফিসে ২ হাজার ৫৫৮ টাকা, সমাজসেবা দপ্তরের বকেয়া ২ হাজার ২৮৪, আনসার ভিডিপি কার্যালয়ে ৯০৫ টাকা, দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া ১ লাখ ৪২ হাজার ৩৫৪ টাকা, লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের বকেয়া ৮ হাজার ৯৬২ টাকা, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদে ১৬ হাজার ৭৫০ টাকা, লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৩০ হাজার ৪০টাকা, জয়পুর ইউনয়ন পরিষদে ৭৮১ টাকা বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে।

লম্বা বকেয়ার দায় প্রসংগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লোহাগড়া পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, এ বিলের দায় আমার একার না। আমার পূর্বের মেয়র এর সময় কালে বেশ কিছু বিল বকেয়া ছিল। আমি দায়িত্বে আসার পররেও কিছু বিল পরিশোধ করেছি। তবে আগামীতে বাকি বিল পরিশোধের চেষ্টা করব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, আগামী জুন ক্লোজিংএর আগে রাজস্ব থেকে সমন্ময় করে রেজুলেশনের মাধ্যমে বিলগুলি পরিশোধ করা হবে।

দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার ঘোষ বলেন, এক দুই মাসের বিল বাকি পড়লেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে লাইন কেটে দেয় তাই জানতান। কিন্তু কিভাবে এত বিল বকেয়া হল তা আমি জানি না। বর্তমানে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে ৪০০ টাকার বিনিময়ে সাইড লাইনের মাধ্যেমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি।

লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় পুলিশ ফাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তারাই পরিষদের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তাদের কাছ থেকে বিল নিয়ে পরিশোধ করে দিব।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুর রহমান বলেন, জুনের আগে বরাদ্দ পেলে আমরা বিল পরিশোধ করে দিতে পারব।

(আরএম/এসপি/এপ্রিল ১০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test