E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টর্নেডোর ছোবলে আগৈলঝাড়ার বিভিন্ন গ্রাম লন্ডভন্ড

২০১৮ এপ্রিল ১৮ ১৮:১৭:৪৩
টর্নেডোর ছোবলে আগৈলঝাড়ার বিভিন্ন গ্রাম লন্ডভন্ড

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় টর্নেডোর ছোবলে বিভিন্ন গ্রাম লন্ডভন্ড। উঠতি পাকা ধান, পান বরজ, গাছ, কাঁচা ঘরবাড়ি, পোল্ট্রি ফার্ম ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি। তালিকা প্রস্তুত করতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ। 

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার দিকে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া টর্নেডোর ছোবলে মুহুর্তের মধ্যে কয়েকটি গ্রাম লন্ডভন্ড হযে যায়। রাজিহার ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার জানান, মুহুর্তের মধ্যে টর্নেডোর আঘাতে বড় বাশাইল, ছোট বাশাইল, লখারমাটিয়া, চৌদ্দমেধা, সাজুরিয়া, কান্দিরপাড়, ভাজনা, পশ্চিম গোয়াইল, চেঙ্গুটিয়া গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যায়। টর্নেডোর ছোবলে ২শ একর জমির উঠতি পাকা ধানের ক্ষতি বাবদ ১ কোটি টাকা, ৪০ একর পান বরজ ক্ষতি বাবদ ৮০লাখ টাকা, ৫২টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়ে ৪০ লাখ টাকা, ৩ হাজার গাছপালা উপরে পরে ৮০ লাখ টাকা, ১০টি মুরগীর ফার্ম বিদ্ধস্ত হয়ে ২৫লাখ টাকাসহ আনুমানিক সোয়া তিন কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষয় ক্ষতির তালিকা নিরুপন করে উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে।

বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে তার ইউনিয়নে ১শ একর জমির উঠতি পাঁকা ধান, ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার পান বরজ, অন্তত ৩০ লাখ টাকার গাছপালা ও ৪৫টি কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষতিসহ ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরুপন করে উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে।

আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. হযরত আলী জানান, টর্নেডোতে উপজেলা সদরসহ গ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। ঝড়ের ছোবলে অন্তত ১৫টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গিয়ে ও বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে সঞ্চালন তার ছিড়ে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে রাজিহার ইউনিয়নে। তাৎক্ষনিকভাবে তিনি ক্ষতির সঠিক পরিমান জানাতে পারেননি। কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কবির আহম্মেদ জানান, টর্নেডোতে ক্ষতির তালিকা প্রস্তত করতে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। এখনও সকল তালিকা পাওয়া যায়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, উঠতি ফসল ও পান বরজের ক্ষতির জন্য তালিকা তৈরী করতে মাঠ পর্যায়ে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেল জানান, উপজেলার সর্বত্রই কাল বৈশাখী ঝড়ে উঠতি পাকা ধান, পান বরজ, কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ক্ষয় ক্ষতি নিরুপনের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনও নিজস্বভাবে কাজ করছে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test