E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

২০১৮ এপ্রিল ১৮ ১৮:৪৪:০০
টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার চতুর্থ বার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে এমপি রানাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদী নাহার আহমদকে জেরা করা হয়। বিচারক মামলার বাদী নাহার আহমদের আংশিক জেরা সমাপ্ত করে আগামী ৯ মে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্র জানায়, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার অন্যতম আসামি এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ১২টায় টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে বিচারাধীন এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

রানার উপস্থিতিতে বুধবার বেলা ১২টার দিকে টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এজলাসে ওঠেন। পরে চতুর্থ দফায় ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও বাদীর জেরা শুরু হয়। আদালতে মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় বেলা ১টা ৫ মিনিটে। চলমান সাক্ষ্যগ্রহণে বাদীর আংশিক জেরা গ্রহণের পর আগামী ৯ মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালতের বিচারক।

দীর্ঘ প্রায় ২ বছর পলাতক থাকার পর এমপি রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ এ আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি। এর আগে অসুস্থতার কারণে আমানুর রহমান খান রানা এমপিকে আদালতে হাজির না করায় চারবার এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহন পেছানো হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান জানান, আদালতে মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী নাহার আহমদের জেরা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের শুরুতে মামলার দুই সাক্ষী নিহতের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা আদালতে দাখিল করা হয়। কারাগারে আটক আসামী আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুর, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে এবং ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা ও তার তিন ভাইসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test