E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মোংলা বন্দরে শ্রমিকের মৃত্যু, জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ 

২০১৮ মে ০১ ১৫:১০:১৩
মোংলা বন্দরে শ্রমিকের মৃত্যু, জাহাজের পণ্য খালাস বন্ধ 

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : মোংলা বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ায় এলাকায় অবস্থানরত একটি বিদেশী জাহাজে বস্তা বাধার রশি ‘সিলিং’ ছিড়ে সারের বস্তা চাপা পড়ে মো. হেলাল (৩২) নামে এক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে ওই জাহাজের পণ্য খালাস কাজ বন্ধ রয়েছে। জাহাজে কর্মরত অবস্থায় শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শহর জুড়ে শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এদিকে জাহাজে দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকেরা শহরের ট্রেডার্স মসজিদ রোডস্থ শ্রমিক নিয়োগকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মের্সাস খালিদ ব্রাদার্সের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। পরে শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক সেন্টু ও ষ্টিভিডরস মেসার্স খালিদ ব্রাদার্সের মোংলা অফিসের ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান শহীদ জানান, বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৭ নং বয়া এলাকায় অবস্থানরত এমভি আতাকামা জাহাজে সার খালাস কাজে নিয়োজিত ছিল খালিদ ব্রাদার্সের খামালী শ্রমিক মো. হেলাল (৩২)। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জাহাজের জাহাজ অভ্যন্তরে হ্যাচের মধ্যে কাজ করার সময় সিলিং ছিড়ে পড়লে সারের বস্তার নিচে চাপা পড়ে হেলাল। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর রাতেই জাহাজ থেকে হেলালের মরাদেহ নামিয়ে শহরের শ্রম কল্যান সড়কের বালুরমাঠ এলাকার বাড়ীতে নেয়া হয়।

অন্যান্য শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, জাহাজের প্রতি সিলিংয়ে ২০টি করে বস্তা বাধার নিয়ম থাকলেও খালিদ ব্রাদার্সের সুপারভাইজার মো. কাশেম খামালী শ্রমিকদের দিয়ে ৩৬ থেকে ৪০টি করে বস্তা বেধে দেয়ার জন্য বাধ্য করে। অতিরিক্ত বস্তা বোঝাইয়ের কারণেই সিলিং ছিড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তারা আরো বলেন, যে সিলিং ছিড়ে পড়েছে তাতে ২০টির জায়গায় ৩৬ বস্তাটি সারের বস্তা ছিল। কতিপয় ষ্টিভিডরস মালিকদের অব্যবস্থাপনা ও খামখেয়ালীপনার কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত ও নিহত হচ্ছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।

মোংলা বন্দরে জাহাজে পণ্য বোঝাই-খালাস কাজে খালিদ ব্রাদার্স নামের ওই ষ্টিভিডরস কোম্পানী দুর্বল সরঞ্জামাদি ব্যবহার ও শ্রমিকদের ঝুকিপূর্ণ কাজে বাধ্য করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবী করেছেন শ্রমিকেরা। এছাড়া বন্দরের শ্রম আইন অনুযায়ী নিহতের পরিবারকে ন্যার্য্য পাওনাদী পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ষ্টিভিডরসের প্রতি আহবাণ জানিয়েছে বন্দরে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ও নেতৃবৃন্দরা।

মোংলা বন্দরের খামালী শ্রমিক হেলালের মৃত্যুতে শোক ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক সেন্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

(এসএকে/এসপি/মে ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test