E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজারহাটে নির্মাণের ৮ মাসের ব্যবধানে ব্রীজে ধস, জন দূর্ভোগ 

২০১৮ মে ০৪ ২৩:৩৪:২৭
রাজারহাটে নির্মাণের ৮ মাসের ব্যবধানে ব্রীজে ধস, জন দূর্ভোগ 

রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ব্রীজ নির্মাণের মাত্র ৮মাসের ব্যবধানে পাটাতন ধসে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এরপরও ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওই ব্রীজের উপর দিয়ে পথচারী ও যানবাহন যাতায়াত করছে প্রতিনিয়ত।

এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানান, নাজিমখান থেকে রতিগ্রাম যাওয়ার পথিমধ্যে বাছরা ঈদগাহ মাঠেরপাড় নামক এলাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ব্রীজটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়। এর পর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের জন্য এটি উম্মুক্ত করে দেয়। কিন্তু ব্রীজটি নির্মাণের মাত্র ২মাস অতিবাহিত না হতেই ব্রীজের পাটাতনে ফাটল দেখা দেয়।

বিষয়টি নির্মাণাধীন ঠিকাদার জানার পর তড়িঘড়ি করে ফাটলের স্থানগুলোতে সিমেন্ট-বালু দিয়ে রাতারাতি ঢেকে দেয়া হয়। কিন্তু ৬মাস অতিবাহিত না হতেই ব্রীজের পুরো পাটাতন ধসে পড়ায় তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। যেকোন মুহুর্তে ব্রীজের পাটাতনের পুরো ঢালাই ভেঙ্গে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশংকা।

উল্লেখ্য নর্দাণ বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ৫কোটি ৯৬লাখ ৫৭টাকা ৪৬পয়সার বিপরীতে জেভিএম/এস বসুন্ধরা এন্ড মেসার্স খায়রুল এন্টারপ্রাইজ কুড়িগ্রাম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি গত ২৫নভেম্বর/১৬ইং নাজিমখান জেসি হতে রতিগ্রাম জেসি পর্যন্ত ৭.৭৫ কিঃমিঃ রাস্তাসহ ২টি বক্সে কালভার্ট ও একটি ক্রসড্রেন ২৪নভেম্বর/১৭ইং তারিখে কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বার বার ওই প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দিয়েছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এরপর তড়িঘড়ি করে রাস্তাটির কাজ বাদ দিয়ে শুধু ব্রীজের কাজ সমাপ্ত করে এটি জনসাধারনের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।

সরেজমিনে কথা হয় এলাকাবাসী আঃ রহিম, ফুল মিয়া, সাহেব আলী, রোস্তম সহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, ব্রীজটি নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ইস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হয়নি। যার ফলে ব্রীজটি তৈরি করার পর পরই ফাটলসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। সবশেষে গত ১ মে মঙ্গলবার ব্রীজটির পাটাতন ধসে যায়।

গত ৩ মে এ ব্যাপারে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ স্বীকার করে জানান, হাওয়া হওয়ার কারণে ব্রীজটির প্যাটান স্টান্ড উঠে গেছে।

কাজটির তদারককারী কর্মকর্তা রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী জি কে এম আনোয়ারুল আলম বলেন, আমি ব্রীজটি দেখে এসেছি, রাস্তার মসলা ব্রীজের উপর তৈরি করায় মসলা উঠে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

(পিএমএস/এসপি/মে ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test