E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দিনাজপুর-৫

কোন্দলে আ. লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপির একক প্রার্থী

২০১৮ মে ০৭ ১৪:৫৮:১০
কোন্দলে আ. লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপির একক প্রার্থী

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী আসন দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী)। আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি এ আসনটি’তে দলীয় কোন্দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। একাধিক দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে নেমেছে। তবে বিএনপি’র একক প্রার্থী দাপটের সাথে আছেন এ আসনটিতে। 

রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও দিনাজপুর-৫ আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। উন্নয়ন ও শুভেচ্ছা সম্বলিত বিল বোর্ডে ছেঁয়ে গেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। মনোননয় প্রত্যাশিরা যতোটা সম্ভব নিজের জন্য গণসংযোগ করছেন। তবে ক্ষমতাসীন দল তার চেয়েও বেশি মোকাবিলা করছেন দলীয় কোন্দল। এর মাঝেও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ব্যস্ত এখন নেতাকর্মী ও ভোটারদের খুশি করতে। রং-বেরংয়ের পোস্টার-ব্যানার সাঁটিয়ে নির্বাচনের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন তারা। কে নেবে দিনাজপুর-৫ আসনের জনতার ভার ? কার দ্বারা এলাকার উন্নয়ন সাধিত হবে এনিয়ে সুধী ও গুনিজন এবং অভিজ্ঞ মহল ভাবছেন। এ আসনটির রাজনীতির একাল-সেকাল নিয়ে অনেকে করছেন চুল ছেড়া বিশ্লেষণ।

পার্বতীপুরে দেশের একমাত্র বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রতষ্ঠানের কারণে আলোচনায় থাকে পার্বতীপুর-ফুলবাড়ীর নাম। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ এ আসনের সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার টার্গেট রয়েছে অনেকেরই। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় শুরু করেছেন দৌঁড়-ঝাপ। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রার্থীরা পাওয়ার আশায় মাঠে কাজও করছেন তারা।

এ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শক্ত অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী নেতা, বর্তমান এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তফিজুর রহমান ফিজার। তাঁর বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলায়। এরই মধ্যে সভা-সমাবেশ করাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন ছয়বারের এই এমপি।
কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সরব রয়েছেন মাঠে।তবে পরিবারের সদস্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এমপি ফিজারকে নিয়ে দুই উপজেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপরদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়েকজন তরুন নেতারাও সভা-সমাবেশ করছেন।

তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক সাবেক এমপি শিল্পপতি এ.জেড.এম রেজওয়ানুল হকের নাম শোনা যাচ্ছে। দলের একক প্রার্থী হিসেবে তিনি মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জামায়াতের কারো নাম শোনা যায়নি। জোট হলে বিএনপির বাক্সে জামায়াতের ভোট পড়বে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টি (জাপা)’র একক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জাপা’র কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা জাপা’র তরুণ নেতা সোলায়মান সামি। তিনিও মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। মাঠে কাজও করছেন তিনি।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এমপি এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ছাড়াও অন্যরা হলেন পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দুল আলম শান্ত, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মাহমুদুন্নবী চৌধুরী, পার্বতীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. এস এইচ সাজ্জাদ, দিনাজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাকির ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সফেদ আশফাক তুহিন। প্রত্যেকেই মনোনয়ন পাওয়ার আশায় আলাদাভাবে সভা-সমাবেশ করছেন। করছেন, লবিং-গ্রুপিং।

এদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক এমপি এ জেড এম রেজওয়ানুল হক। এ ছাড়া ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা, সাবেক এমপি ও এরশাদ সরকার আমলের প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার শিক্ষা উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলী সরকারও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ আসনে বিএনপি থেকে রেজওয়ান মনোনয়ন পাবেন বলে জোর দিয়ে জানিয়েছেন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী।

মূলতঃ এ আসনে মাত্র দুইবার ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে নবগঠিত বিএনপি প্রার্থী মনসুর আলী সরকার একবার এ আসনে বিজয়ী হন। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্জনের মধ্যে বিজয়ী হন বিশিষ্ট শিল্পপতি এ জেড এম রেজওয়ানুল হক।এর পর থেকে টানা এ আসন আওয়ামী লীগেরই দখলে রয়েছে। আর এর মূল নায়ক এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।

এ পর্যন্ত তিনি ছয়বার এমপি নির্বাচিত হন। এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। ২০০৯ সালের নির্বাচনে জিতে প্রথমে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী’র দায়িত্ব পান। পরে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৪-এর নির্বাচনে জিতে দায়িত্ব নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। তবে ফিজারের পরিবারের লোকজনের কারণে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে নাখোশ দলের তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী।

ফিজারের বিষয়ে ফুলবাড়ী ও দিনাজপুরের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অতীতে মন্ত্রীর যে সুনাম ছিল, বর্তমানে তা নেই। তাঁর ভাই, স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতার কারণে এমপির সেই সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ কারণে তাঁর বিকল্প খোঁজার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের কিছু নেতা।

তারা বলছেন, মন্ত্রী গত সাত বছর নেতাকর্মী-সমর্থকদের চেয়ে নিজেকে ও তাঁর পরিবারকে নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন, যে কারণে তিনি জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। এখন তরুন প্রজন্মের নেতারাই দলের কাজ করছেন। চেষ্টা করছেন দল গুছানোর।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘প্রার্থী যাঁকেই করা হোক না কেন, সেই জিতবে আওয়ামী লীগ থেকে। তবে শর্ত হচ্ছে আগে দলের ভেতর থেকে দলীয় কোন্দল নিরসন করতে হবে। অন্যথায় যাঁকেই প্রার্থী করা হোক, দলীয় কোন্দলের কারণে তাঁর পরাজয়ের আশঙ্কাও এবার বেশী। ’

তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারি, স্কুল-কলেজ কমিটি, ইনস্যুরেন্স বাণিজ্য অনেক কিছুই এখন ফিজার পরিবারের পারিবারিক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ভাই মুশফিকুর রহমান বাবুলের দাপটে কোণঠাসা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সাধারণ নেতাকর্মীরা।
আর মন্ত্রী নিজে ফুলবাড়ী-পার্বতীপুরের অন্তত পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে রয়েছেন।

মন্ত্রীর ভাই বাবুল বর্তমানে খয়েরবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদে রয়েছেন। মন্ত্রীর স্ত্রী ময়না সভাপতির পদে রয়েছেন আমবাড়ী ফাজিল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে। আরেক ভাই এনামুল রয়েছেন রুদ্রবানী স্কুল ও রামেশ্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে।

নতুন মুখের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা এক নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘মন্ত্রীর নিয়োগ বাণিজ্যের সুযোগ নিচ্ছে জামায়াত-বিএনপির অনেক নেতা। একসময় যারা জামায়াত করতেন এমন কয়েকজন এখন তাকে ঘিরে আছেন। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মন্ত্রীর মেয়ের জামাই কয়লাভিত্তিক বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। এসব কথা এখন দিনাজপুর-ফুলবাড়ীর মানুষের মুখে মুখে।

পার্বতীপুর পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তৃণমূলের কর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এতকাল এমপি সাহেব বলতেন, ‘মন্ত্রী ছিলাম না, কী উন্নয়ন করব। ’ এখন তিনি মন্ত্রী। কিন্তু এখন আগের কথা ভুলে গেছেন। তৃণমূলের লোকজন এখন তাঁর কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন।’ এখন আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে নতুন প্রার্থী দেওয়া ছাড়া এ আসন ধরে রাখা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রায় একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন,আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দিনাজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফুলবাড়ীর বাসিন্দা জাকারিয়া জাকির। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বারবার এমপি হওয়ার পরও মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এমপি সাহেব।

তবে পার্বতীপুর পৌর শহরের নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, এ আসনে এমপি ফিজারের প্রয়োজন আছে। নেতা ও ব্যক্তি হিসেবে তিনি এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিকল্প কোনো নেতা এখনো তৈরি হয়নি।

হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাছুদুর রহমান শাহ্ বলেন, ‘ক্ষমতা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে উপজেলা পর্যায় ও ছিন্নমূলের কিছু নেতাকর্মীর ক্ষোভ রয়েছে তাঁর ওপর। যে যত কথাই বলুক মনোনয়ন পাবেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমানই। দুই উপজেলায় ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে তাঁর। তিনি এখন মনের দিক দিয়ে তরুন। ’

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম নেতা সফেদ আশফাক তুহিন বলেন, ‘পর পর দুইবার মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি (ফিজার) জনগণের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের দূরে রেখেছেন। কর্মীদের মূল্যায়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরও নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি মেলেনি। এতেও নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই অবস্থায় আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন বর্তমান এমপি ফিজার। তাই নতুন প্রজন্মের কাউকে প্রার্থী হিসেবে ভাবছেন একার সাধারণ ভোটার ও জনগণ। ’

মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সাথে অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি এলাকার এমপি,জনগণ ভোট দিবে আমাকে। আমার পরিবারের লোকজনকে নয়। কারো যদি আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে। সুনিদির্ষ্ট তার প্রমান দেউক। মুখে বল্লে হবেনা। মুখে মানুষ অনেক কথাই বলে।

তিনি দিনাজপুর জেলা শহরের এক প্রভাবশালী দলীয় নেতার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘বুঝেছি সে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার লোকদের দিয়ে বলাচ্ছে। তার যদি এতোই জনপ্রিয়তা- তাহলে আমার এলাকায় এসে মিটিং ডাকুক, আর আমিও মিটিং ডাকবো। দেখবো কার কত লোক। কার কত জনপ্রিয়তা। পিচ্ছি পোলাপানদের আমার পিছে লেলিয়ে দিয়েছে। সে নিজে আমার এলাকায় নির্বাচন করে দেখাক,তার কত পাওয়ার !’

অপরদিকে মন্ত্রী’র ভাই ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, দুই উপজেলার অলিগলিতে ‘স্মরণকালের উন্নয়ন করা হয়েছে । দলের মধ্যে কোনো মতানৈক্যও নেই। নৌকায় ভোট দেওয়ার বেলায় সবাই এক রয়েছে এ নির্বাজনী এলাকায়। কিছু সুযোগ-সন্ধানী লোক অকারণে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ইমেজ নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। এই অঞ্চলের মাটি মানুষের নেতা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার। তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এই অঞ্চলের মানুষ। তিনি বিভিন্ন সংকট মোকাবেলা করেছেন। এ আসনে তাঁর বিকল্প কেউ তৈরি হয়নি। তাই এবারও মনোনয়নও পাবেন তিনি। তাঁর বিকল্প গড়ে উঠেনি এ আসনে। ’

এদিকে এ আসনে বিএনপি নেতা এ জেড এম রেজওয়ানুল হকের বিপুল জনসমর্থন রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে। ফলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রাার্থীর মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি এ জেড এম রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রামসহ বিএনপির দুর্দিনে দলের সঙ্গেই আছি। জাতীয় স্বার্থে বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেব। ’ সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপির প্রার্থীর অনুকূলেই জনসমর্থন থাকবে বলে দাবি করেন তিনি ।

সরেজমিনে এ নির্বাচনী মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,এ আসনে লড়াই হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবার এ আসনে লড়াই হবে হাড্ডা-হাড্ডি।

(এসএএস/এসপি/মে ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test