E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মধ্যপাড়া পাথর খনিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে হুমকির মুখে কর্মকর্তা-শ্রমিকরা

২০১৮ মে ০৯ ১৬:০১:৩৭
মধ্যপাড়া পাথর খনিতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে হুমকির মুখে কর্মকর্তা-শ্রমিকরা

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনিতে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে খনিতে কর্মরত বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও খনি শ্রমিকদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে এবং সেই সঙ্গে বিদেশী, মূল্যবান মেশিনারিজ নষ্ঠ হওয়ার সম্ভবনা।

খনি সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ মে ২০১৮ ইং তারিখে রাত ৯.১২ মিনিট থেকে ৯.২৫ মিনিট এবং রাত ১১.৩৬ মিনিট থেকে ১১.৩৯ মিনিট বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় পড়ে মধ্যপাড়া পাথর খনির কর্মরত কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা। এতে খনির ভু-গর্ভে পাথর উত্তোলনের জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিস্ফোরনের পর মহুর্তেই হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে খনির ভুগর্ভে অবস্থানরত প্রায় দেড় শত খনি শ্রমিক ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের জীবন নাশের আশংকা দেখা দেয়।

কেননা বিস্ফোরনের পর খনির অভ্যন্তর বিষাক্ত গ্যাস দ্বারা পরিপুর্ণ হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে উক্ত বিষাক্ত গ্যাস অপসরন করা সম্ভব হয়। অন্যথায় হওয়ার ফলে ভু-অভ্যন্তরে কর্মরত বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও শ্রমিকদের শ্বাষ কষ্ট সহ তারা আতংকিত হয়ে পড়েন। তাতখনিক জিটিসি’র বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞগণ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

ইতিপুর্বে পাথর খনিতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে এই ধরনের মৃত্যুর হুমকি জনিত পরিস্থিতিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) পাথর খনি কর্তৃপক্ষ মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ (এমজিএমসিএল) কে একাধিক বার পত্র মারফতে অবগত করে এর সমাধানের জন্য জানালেও পরিস্থিতি পুর্বের ন্যায় ঝুকিঁপুর্ন অবস্থায় বিরাজ করছে। ফলে জিটিসি’র অধীনে বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ এবং খনি শ্রমিকদের জীবনর হুমকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে তারা জানান।

খনির একটি সুত্র জানায়,আর্ন্তজাতিক খনি আইনে খনিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। মধ্যপাড়া পাথর খনিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবে খনি কর্তৃপক্ষ এমজিএমসিএল এবং এই মর্মে চুক্তিতে উল্লেখ আছ্।ে খনির কাজ গতিশীল রাখা ও এখানে কর্মরত বিদেশী ও দেশী বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। বিকল্প বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে খনির উন্নয়ন ও উৎপাদন কাজ ব্যহত হচ্ছে । পাশাপাশি খনির ভু-গর্ভে মূল্যবান ও স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতিসমূহ প্রায়শই নষ্ট হচ্ছে। জিটিসি’র নিকট হস্তান্তরের পর হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ শত বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়তে হয়েছে।

এদিকে খনি শ্রমিকরা জানায়, হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেলে খনির ভ-ুগর্ভে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্ঠি হয়, এতে তারা আতংকিত হয়ে পড়েন। জেনারেটর চালিয়ে শুধু আলোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। কিন্তু এতে লিফট সহ কোন মেশিনারিজ চালানো সম্ভব হয় না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়া কবলে পড়ে খনির উপরিভাগে ও ভূ-গর্ভে স্থাপিত বিদেশী দামী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে এবং এখানে কর্মরতদের জীবনও হুমকির মুখে রয়েছে।

খনির অধিকাংশ যন্ত্রপাতি কমপ্রেসড এয়ার এর মাধ্যমে চলে । হঠাৎ ২/৫ মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলে খনির উৎপাদন নেটওয়ার্ক সচল করতে ৩০/৪০ মিনিটের অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে খনির অভ্যন্তরে ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়ে বিদেশী বিশেষজ্ঞ এবং দেশী শ্রমিকদের শ্বাষ -প্রশ্বাষ জনিত সমস্যা সহ জীবন হুমকির মুখে পড়ে।

এ ব্যাপারে মধ্যপাড়া পাথর খনির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী নুরুল আওরঙ্গজেব এর সাথে গতকাল মঙ্গলবার মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জরুরী একটা মিটিং এ আছি পরে কথা বললো বলে ফোন রেখেদেন।

(আরবি/এসপি/মে ০৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test