E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৃহস্থালী কাজে বাঁশজাত পণ্যের কদর বেড়েছে 

২০১৮ মে ১১ ১৬:১২:১৬
গৃহস্থালী কাজে বাঁশজাত পণ্যের কদর বেড়েছে 

জোটন চন্দ্র ঘোষ, ময়মনসিংহ : প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা বাজারে মহাসড়কের পাশে প্রসিদ্ধ বাঁশের তৈরি উপকরণ বিক্রির করে স্বাবলম্বী বহুসংখ্যক আদিবাসি পরিবার। সারা বছর বাজার জমজমাট থাকলেও বোর ধান কাটা ও বর্ষা মৌসুমে অনেকাংশে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। গৃহস্থালী কাজ থেকে শুরু করে মৎস্য শিকার,ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র সকল ক্ষেত্রেই রয়েছে বাঁশ আর বেত জাতীয় হস্তশিল্পের কদর। বর্তমানে বাঁশ ও বেতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এসব সামগ্রী তৈরিতে খরচের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। 

হালুয়াঘাট উপজেলার আদিবাসি ও দাস সম্প্রদায় এ শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষভাবে এ পেশায় জড়িত। সপ্তাহের দু’দিন শুক্রবার ও সোমবার ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট মহাসড়কের পাশে ধারা বাজারে বাঁশজাত শিল্পের হাট বসে। এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজন হাট থেকে ডোল, চাটাই, কুলা, চালুন, খালুই, বাইর, পলো, খাঁচা, উড়ি, মাছের খাড়ি, একপাটি দরজা, মোড়া, বুকসেলফ পাইকারী ও খুচরায় সংগ্রহ করে থাকে।

প্রকারভেদে ডোল ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা, খাঁচা ৪০ থেকে ৮০ টাকা, বাইর ১০০ থেকে ২০০ টাকায়, চালনি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, কুলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা হচ্ছে।

বংশগত পেশা হিসেবে এ শিল্পের সাথে ওপ্রোতভাব জড়িয়ে আছেন উপজেলার স্বদেশী ইউনিয়নের মাছাইল গ্রামের যমুনা রাণী দাস (৫৬)। স্বামী মারা যাবার পর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে এ পেশাকে আকড়ে ধরে আছেন। জীবিকা অর্জনের প্রধান আয়ের উৎস এই বাঁশজাত শিল্প।

তিনি বলেন, সারা বৎসর গৃহস্থালীর পণ্যের চাহিদা না থাকলে ধান কাটার মৌসুম জুড়ে থাকে ব্যাপক চাহিদা।

তিনি আরো বলেন, পুজির অভাবে এ পেশার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ জীবনজীবিকা চালাতে না পেরে অন্য পেশার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তারপরেও পিতৃপুরুষের পেশা অনেকেই ধরে রেখে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগীতা পেলে এ শিল্পের আরো বৃস্তিতি লাভ করবে বলে তার জানান।

(জেসিজি/এসপি/মে ১১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test