E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্রয় করা জমিতে প্রভাবশালীদের বাধা, রক্ষক এখন ভক্ষক

২০১৮ মে ৩০ ১৫:৩১:৫৫
ক্রয় করা জমিতে প্রভাবশালীদের বাধা, রক্ষক এখন ভক্ষক

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : গোলখালী ইউনিয়নের সীমান্ত শেষে গাজীপুর বন্দরের মাছ বাজার সংলগ্ন ক্রয়কৃত জমিতে ঘর উত্তোলন করায় প্রভাবশালীদের বাধা।

এ জমির মালিক মো: বদরুল হাসান বারেক খান, বোন সুইটি বেগম ও লাইজু মমতাজ মনিকা বেগম প্রতিবেদককে জানান, ১৯৮১ সালে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন খান আমার পিতা গাজীপুর বন্দরে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমাদের নামে। ঐ জমি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খালেদা আক্তার সহ তাদের পরিবারকে দেওয়া হয়।

তারা অনেক বছর ঐ জমি রক্ষণাবেক্ষণ করায় দলিলকৃত মালিকদের জমিতে আসতে বাধা দেয়। এ বছর ৮ই মে ঐ জমি উদ্ধারের জন্য আমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। উভয় পক্ষের আপোষ মিমাংসার জন্য আমতলী থানার পুলিশ সালিশী মেনে দেয়।

আমতলী থানার সাধারণ ডায়েরী ও সালিশী বৈঠকের খবর পেয়ে খালেদা আক্তারের স্বামী হোসেন মোল্লা ও তার লোকজন লাইজু মমতাজ মনিকা ও তার ভাইদের প্রাণ নাসের হুমদি দেয়। সাধারণ ডায়েরী তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ২৬ শে মে আমতলী থানা কর্তৃক মানিত সালিশী বৈঠকে চড়াও হয়ে আমাদেরকে বেধম গালমন্দ করে।

এ বিষয়ে খালেদা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, ১৯৮১ সালে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মো: বেলায়েত হোসেন খান আমার কাছ থেকে ঐ জমি বাবদ ১৮ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু তিনি জমির দলিল না দিয়ে আমাকে দখল বুঝিয়ে দেয়। ঐ সময় থেকে আমি জমি ভোগ দখল করে আসছি।

এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন খান প্রতিবেদককে জানায়, জমিতে ওনাদের থাকতে দেওয়ায় এখন জমি তারা লুটে পুটে খাওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। বাকের হোসেন খানের কাছে তারা জানতে চাইলে দুই ভাই ও দুই বোনের নামে ঐ জমির দলিল ওনাদের কোন সত্যতা নেই। গায়ের জোরে জমিতে আছে। আইন কানুন কিছুই মানে না। সুইটি বেগম বলেন আমরা শহরে থাকায় ওরা আমাদের সরলতার সুযোগ পেয়ে ঐ জায়গায় ঘর উঠানোর পায়তারা চালাচ্ছিল।

গোলখালী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনজু ঢালী বলেন, প্রকৃতভাবে ঐ জমির মালিক লাইজু মমতাজ গং এর লোকেরা। ইউপি সদস্য জসিম দুয়ারী বলেন, কাগজপত্র আমি দেখেছি। আসলেই লাইজু মমতাজ মনিকারা ঐ জায়গার প্রকৃত মালিক।

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হারুন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, দেখব।

গাজিপুর ফাড়ী ইনচার্জ বাবু ধীরেন্দ্র দেবনাথ সাহা বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসডি/এসপি/মে ৩০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test