E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মির্জাগঞ্জে খেলার মাঠে নতুন ভবন নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ

২০১৮ জুন ০৬ ২৩:০১:৩৯
মির্জাগঞ্জে খেলার মাঠে নতুন ভবন নির্মাণ, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ

উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ না রেখেই নতুন ভবন নির্মান করা হয়েছে। এতে শিশুদের পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও পিটি প্যারেড করানো হচ্ছে না।

এদিকে নতুন ভবনের পাশে পরিত্যক্ত পুরাতন টিনশেড ভবনটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে অনেক বছর। পুরাতন ভবনের পাশে স্থাণীয়দের চলাচলের জন্য একটি রাস্তা থাকলেও ভবনের কারনে তা প্রায় বন্ধের পথে। কোন পথচারী ভবনের পাশ দিয়ে চলাচল করতে সাহস পাচ্ছে না। কেউ চলাচল করলেও ভয়ে ভয়ে চলতে হচ্ছে। পুরাতন ভবন দু’টি ভেঙ্গে শিশুদের খেলার মাঠ তৈরী করার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় লোকজনের পক্ষ থেকে লিখিত ভাবে উপজেলা এলজিইডি ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে দিলেও কোন কাজ হয়নি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের মুন্সীর হাট বাজার সংলগ্ন শ্রীমন্ত নদীর পাড়ে ১৯৪১ সালে মাধবখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। গত ৩ বছর আগে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি না ভেঙ্গে বিদ্যালয় মাঠে ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার ভবনটি নির্মান করা হয়। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা কার্যক্রম ও পিটি প্যারেড বন্ধ রয়েছে। সরকার শিশুদের শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলার উপর যে গুরুত্ত্বারোপ করেছেন তা পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে খেলার মাঠ তৈরী করে দিলে,বাস্তবায়ন হবে বলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ সালাম সিকদার বলেন,বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মান হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভালো ভাবে পড়াশুনা করতে পারছে। অন্যদিকে পুরাতন ভবনটি নিলামে না তুলে বিদ্যালয় মাঠে নতুন ভবন নির্মান হওয়ায় শিক্ষার্থীদের খেলার পরিবেশ নষ্ট এবং পুরাতন ভবনের পূর্ব পাশে পাচঁ সহাস্রাধিক লোকের যাতায়াতের জন্য রাস্তাটি প্রায় বন্ধের পথে। ভবনের পাশ দিয়ে ঝড় বৃষ্টির সময়ে লোকজন চলাচল করতে পারছে না। কারন পুরাতন বিদ্যালয়ের টিন বা ভবনটি যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়ে বড় কোন দুঘর্টনার শিকার হয়ার ভয়ে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ মিনারা আক্তার বলেন,নতুন ভবন থেকে পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনের দুরত্বমাত্র ৫ ফুট। শিক্ষার্থীরা যাতে কেউ দুঘর্টনার শিকার না হয় সে লক্ষে ভবন দুইটি ভেঙ্গে শিক্ষার্থীদের খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে রেজুলেশন করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও উপজেলা এলজিইউডি অফিসে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। অথচ ভবন নির্মানের প্রায় ৩ বছর পার হতে চলছে এর কোন পতিকার পাচ্ছি না। তবে শিক্ষার্থীদের কেউ দুর্ঘটনা শিকার হলে দ্বায়িত্ব তো আমাদেরই নিতে হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ড বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। উপজেলার যে সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে সেগুলোর তালিকা তৈরী করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।

(ইউজি/এসপি/জুন ০৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test