E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মামলায় বন্ধ হয়ে গেলে কলাপাড়ার কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির নির্বাচন

২০১৮ জুন ০৭ ১৪:৪৯:১২
মামলায় বন্ধ হয়ে গেলে কলাপাড়ার কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির নির্বাচন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা বিআরডিবির আওতাভূক্ত কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির (ইউসিসিএ) নির্বাচন বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া কৃষক সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক মো. সোনা মিয়া গত ৩১ মে পটুয়াখালীর প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। 

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুন ছিল এ নির্বাচনের ভোট গ্রহনের তারিখ। এতে ২৮৪টি প্রাথমিক সমবায় সমিতি থেকে একজন করে ভোটার ভোট দেয়ার কথা ছিল। ভোটার তালিকা চুড়ান্ত নয় দাবি করে উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া কৃষক সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপক মো. সোনা মিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সোনা মিয়া তার আরজিতে দাবি করেন, ২৮৪টি সমিতির মধ্যে ১৩৭টি সমিতি ভূয়া ভোটার হিসেবে তালিকাভূক্ত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মো. সোনা মিয়ার মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ (ইউআরডিও) ৩ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রদান করেছেন। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার কারণে ৬ জুন বিকেল ৩ টায় নির্বাচন কমিটি সভা করে নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে বিআরডিবির আওতাভূক্ত কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির (ইউসিসিএ) নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়। ১৬ মে আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। ৩১ মে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নির্বাচনী তফসিলের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এর মধ্যে ৫ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হন। সভাপতি পদে ৩ জন, সহ-সভাপতি পদে ২ জনসহ পরিচালকের ১টি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

কলাপাড়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (ইউআরডিও) মো. নূর হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘সমবায় উপবিধি-(১) অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর কারও কোনো আপত্তি থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে সংশোধন পূর্বক চুড়ান্ত করিতে বলা হয়েছে। ওই বিধানের আলোকে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর তা কেন্দ্রিয় সমবায় সমিতির অধীনে থাকা ২৮৪টি প্রাথমিক সমবায় সমিতির কাছে পাঠিয়েছিলাম। সে সময় কারও আপত্তি না পাওয়ায় ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করে প্রকাশ করা হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানোসহ নির্বাচনের সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছিল। নির্বাচনের ঠিক আগ মূহুর্তে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

(এমকেআর/এসপি/জুন ০৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test