E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার নির্মাণ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

২০১৮ জুন ০৯ ১৮:৩৬:১৩
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শহীদ মিনার নির্মাণ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের তেলিপাড়া হাজি মেহের আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মান না করে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

মোজাফরপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো: কামরুজ্জামান ও তেলিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিভাবক মো: আব্দুল হেলিম সহ ২২ জন ছাত্র অভিভাবক ও গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।

ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান ও ছাত্র অভিভাবক আব্দুল হেলিম বলেন ওই প্রধান শিক্ষক ১২ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও তারা দাবী করেন। ছাত্র অভিভাবকরা বলেন বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান খুবই খারাপ।

চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রদের অনেকেই তাদের নাম ঠিকানা পর্যন্ত লিখতে পারে না। পাঠদানের উন্নতির জন্য কয়েকবার দেন দরবার ও অভিভাবক সমাবেশ করে আসলেও প্রধান শিক্ষক তাতে কোন কর্ণপাত করছেন না। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়েই আবার চলে যান। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চলাকালীন সময় মধু বিক্রির ব্যবসায় জড়িত থাকারও অভিযোগ ওঠেছে।

ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষক বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের সদস্য থাকায় জাতীয় কোন দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ছাত্র ছাত্রীদের জাতীয় সংগীতও শেখান না। গত বছর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ওই বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক শহীদ মিনার নির্মান না করে পুরো টাকাই সাত পাঁচ ভাউচার দিয়ে আত্মসাত করেছেন। তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কেও কটুক্তি করেন বলেও তারা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

শনিবার বিকাল পাঁচটার দিকে মুঠোফোনে ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর স্লিপের টাকায় শহীদ মিনার নির্মানের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে গর্ত থাকায় শহীদ মিনার নির্মান করা সম্ভব হয় নি বলে তিনি দাবী করেন। ওই টাকা দিয়ে তিনি অন্যান্য কাজ করেছেন কমিটির লোকদের নিয়ে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা আমার কাছে অবৈধ অর্থ অর্থাৎ চাঁদা দাবী করেছিলেন, দাবিকৃত সেই টাকা না দেওয়ায় তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করে আসছে।

এদিকে তদন্তকারী সহকারি শিক্ষ কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী বলেন, অভিযোগটি তদন্তের ভার তার উপর ন্যাস্থ করা হয়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ঈদের পর তিনি তদন্ত শুরু করবেন।

(এসবি/এসপি/জুন ০৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test