E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

২০১৮ জুন ১১ ১৫:৩১:৫৮
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্ইাব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার জনাকীর্ন আদালতে এ রায় ঘোষনা করেন। এ সময় আসামী কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না।  

সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ তলুইগাছা গ্রামের রাহাতুল্লাহ সরদারের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২)।

মামলার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ তলুইগাছা গ্রামের পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী তার চাচাত বোনের সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর দেড়টার দিকে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের বাগানে চালতে খুঁটতে যায়। জিয়াউর রহমান তাদেরকে গাছে তুলে দিয়ে চারটে চালতে পাড়তে সহযোগিতা করেন। চারটি চালতে হাতে দিয়ে চাচাত বোনকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে তার পারিবরিক কবরস্থানে নিয়ে যায় জিয়াউর। সেখানে একটি প্রাচীর দেওয়া কবরস্থানের মধ্যে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে। পরবর্তীতে ধর্ষিতার চাচাত বোন আবারো ফিরে আসে ওই বাগানে।

এ সময় ছাগল চরাতে আসে তাদের আর এক চাচাত ভাই। চাচাত বোনকে খুঁজে না পাওয়ার কথা বলা হয় ওই চাচাত ভাইকে। একপর্যায়ে কবরস্থানে কুকুর ডাকাডাকি করতে থাকলে তারা দু’জন সেদিকে এগিয়ে যায়। এ সময় কবরস্থানের ভিতর থেকে জিয়াউর রহমান দ্রুত চলে গেলে স্কুল ছাত্রীর গোঙানী শুনে তারা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ করে ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(৪) ধারায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

৩০ অক্টোবর মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ওই বছরের পহেলা নভেম্বর বিচারিক হাকিম মোঃ জাকারিয়া হোসেনের কাছে ধর্ষিতা হয়েছে মর্মে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ২০১০ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান এজাহারভুক্ত আসামী জিয়াউর রহমানকে পলাতক দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের তৎকালিন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মধুসুধন মণ্ডলের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ড এর ডাক্তারি পরীক্ষা সনদপত্রে ওই মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ৯(১) ধারায় আদালতে অভিযোগ গঠণ করা হয়।

মামলার চার জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দোহতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাড. এসএম জহুরুল হায়দার বাবু।

(আরকে/এসপি/জুন ১১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test