E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীশংকৈলে ইউএনওর বাড়ী সংস্কার, টেন্ডার না হতেই কাজ সম্পন্ন

২০১৮ জুন ২৬ ১৭:১৩:৩৩
রাণীশংকৈলে ইউএনওর বাড়ী সংস্কার, টেন্ডার না হতেই কাজ সম্পন্ন

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় টেন্ডার না হতেই সরকারী কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ স্বয়ং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদার বিরুদ্বে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মৌসুমী আফরিদা। যোগদানের পর ইউএনও’র সরকারী বাস ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন না থাকলেও তিনি ভবনটির ওয়াটার লাইনের সংস্কার ঘর সংস্কারসহ বাড়ী রং ইলেকট্রিক অন্যান্য কাজ শুরু করে ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেন। আর এসব কাজের মালামাল উপজেলার বিভিন্ন দোকান থেকে কিছু টাকা দিয়ে বাকীতে ক্রয় করে কাজ করেন বলে দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়।

এদিকে সমাপ্ত করা এ কাজের উপর ভিত্তি করে গত ৭ মে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে ইউএনও বাস ভবন সংস্কার ১১লাখ টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান কোয়াটার সংস্কার ৬ লাখ টাকা গেজেটেড কর্মকর্তাদের বাস ভবন সংস্কার ৩লাখ টাকা ইস্টিমেট কষ্ট দেখিয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কারচুপি করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঠিকাদার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান।

টেন্ডারে মেসার্স কামরুল হাসান নামীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউএনওর বাসভবন সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য চুক্তি সম্পাদন করেন। এখন বাধ সাধে যে ভবনের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হলো সে কাজ তার আগেই সমাপ্ত করে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারী নিয়মভঙ্গ করে কাজ করা হয়েছে মর্মে ভুয়া ভাবে বিল পাশ করার চক্রান্ত চলছে। যা সম্পন্ন অনিয়ম। নিয়মনুযায়ী ঠিকাদারকে কাজ করে বিল নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কাজতো আগেই হয়েছে। কাজ হবে কথায়। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংস্কারের কাজটিও টেন্ডারের আগেই সমাপ্ত হয়েছে। যা নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে উপজেলা প্রশাসনের একজন প্রধান কর্মকর্তা হয়ে এমন অনিয়ম নিয়ে। সচেতন মহলের প্রশ্ন তাহলে অন্যান্য দপ্তরে এই ইউএনওর ইন্ধনে কত অনিয়ম হচ্ছে?

ঠিকাদার প্রতিষ্টানের সত্বাধিকারী কামরুল হাসান মুঠোফোনে গতকাল শনিবার বলেন,আমার টেন্ডারকৃত কাজটি ইউএনও সাহেব আগেই করে ফেলেছেন এখন আমি কথায় কাজ করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, ৫% লেসে ঠিকাদার কাজটি পেয়েছেন ঐ ঠিকাদার কাজের এখনো কোন বিল দেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা গতকাল শনিবার মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকে এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন আপনি যে কোন বক্তব্য নিতে হলে অফিস-ডে,তে এসে নিবেন।

(কেএএস/এসপি/জুন ২৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test