E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় নারী পাচারের মামলায় একজনের ২০ বছর কারাদণ্ড

২০১৮ জুন ২৯ ০০:০৯:৩৯
সাতক্ষীরায় নারী পাচারের মামলায় একজনের ২০ বছর কারাদণ্ড

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দু’ নারীকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তির ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম গনেশ চন্দ্র মণ্ডল (৫০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী বলদঘাটা গ্রামের গোপাল চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঢাকার মীরপুর-১২নং এর সাত্তার মোল্লার বস্তির হক সাহেবের মেয়ে রেখা খাতুন(৩৫) পার্শ্ববর্তী ইটালী গার্মেন্টসএ কাজ করতো। একই এলাকায় সিলভার ও পিতলের ব্যবসা করতো সাতক্ষীরার বলদঘাটার গণেশ মণ্ডল। একই এলাকায় বসবাসের সূযোগে রেখার সঙ্গে গনেশের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গণেশ বিভিন্ন সময়ে রেখার সঙ্গে মেলামেশা করতো। ২০০৮ সালের ২৩ মে এর কয়েক মাস আগে রেখার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা মর্জিনার পরিচয় করিয়ে দেয় গনেশ। এর কিছু দিন পর রেখাকে মোবাইল ফোনে মর্জিনার সঙ্গে সাতক্ষীরায় আসতে বলে সে। সে অনুযায়ী ২০০৮ সালের ২২ মে রাতে ঢাকার গাবতলী থেকে পরিবহনে রেখা ও তার পরিচিত এক নারী ভোলা জেলা সদরের চরবনা পত্রিরচর গ্রামের জামাল সরদারের মেয়ে কুলসুমকে নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হয় মর্জিনা। পরদিন ভোরে তারা সাতক্ষীরা বাসস্টাণ্ডে নামে। মর্জিনার মোবাইল পেয়ে গণেশ বাসস্টাণ্ডে চলে আসে।

মর্জিনা চলে যাওয়ার পরপরই গণেশ মোটর সাইকেলে রেখা ও কুলসুমকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার মাহমুদপুর বাদামতলার একটি চায়ের দোকনে নিয়ে আসে। গনেশ চলে যাওয়ার পর পাটকেলঘাটার ওমরপুরের মুজিবর রহমান রেখাকে মোবাইল ফোনে অবস্থান জেনে সেখানে চলে আসে। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হওয়ায় তারা মুজিবরসহ দু’ নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। একপর্যায়ে ২০০৮ সালের ২৩ মে রেখা খাতুন বাদি হয়ে গণেশ মণ্ডল, মুজিবর রহমান ও মর্জিনা খাতুনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর ৫(১)/৩০ ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক খালিদ হোসেন মুন্সি এজাহারভুক্ত গণেশ মণ্ডল, মুজিবর রহমান, সদর উপজেলার মিরগীডাঙার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ও বৈকারী দক্ষিণ পাড়ার গোপাল মণ্ডলের ছেলে উৎপল মণ্ডলের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সাতজন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী গণেশ চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক উপরোক্ত রায় দেন। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. নাদিরা পারভিন।

(আরকে/এসপি/জুন ২৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test