E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

প্রথম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

২০১৮ জুলাই ০২ ১৬:১৬:৪৭
তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

ধামরাইয় প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় সোহাগ (২০), শাইজদ্দিন(৪০), ইমন (২৪) নামের তিন জনকে গ্রেফতার করে সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়েছে সোমবার সকালে।  

পুর্ণিমা (৭) কে ধর্ষণের পর হত্যা করে নিজ বাড়ির পাশেই মোন্নাফের বাঁশ ঝাড়ের নীচ পরে থাকা অস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত শিশু পুর্ণিমার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর এসআই বাবুল শরীফ রোয়াইল ইউপির বিভিন্ন এলাকা অভিযান চালিয়ে সাবেক মেম্বার গেদু মিয়ার পুত্র সোহাগ (২০) শাইজদ্দিন(৪০), ইমন (২৪) গ্রেফতার করেন বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল শরীফ।

ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর (৭বছরের) ছাত্রী পূর্ণিমা আক্তার কে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সকালে সংবাদ পেয়ে ধামরাই থানার পুলিশ এলাকার এক বাঁশ ঝাড়ের ভেতর থেকে ওই শিশু ছাত্রীটির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। তার গোপন স্থানে রক্তক্ষরনের দৃশ্য ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

এঘটনায় এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি করেছে। আতংকিত অভিভাবকরা বলেছেন শিশুদের নিরাপত্তা কোথায়,বিশেষ করে নারী শিশুদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনায় শিক্ষা জীবন নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন এলাকার অভিভাবকরা। তারা বলছেন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে,ধরা পড়ছে না অপরাধিরা। দ্রুত এঘটনায় অপরাধিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছে এলাকাবাসি।

রৌহা গ্রামের সামসুল ইসলামের মেয়ে রৌহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা আক্তারকে সোমবার দুপুর ১টার দিকে ডিম ও ডাল কেনার জন্য বাড়ির পাশেই রৌহা বাজারে পাঠায়। দেলোয়ার হোসেনের মুদি দোকান থেকে ডিম ও ডাল কিনে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পরও না পেয়ে চিন্তি হয়ে পড়ে।শিশু নিখোজের ঘটনায় বিকেলেই মাইকিং করা হয়।

অতঃপর মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দুরে মোন্নাপের ঘরের পেছনের একটি বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে স্থানীয় লোকজন পূর্ণিমার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

মঙ্গলবার ভোরের শিশু ছাত্রীটির নিথর মৃত বাড়ি থেকে ৩০০ গজ দুরে মোন্নাপের ঘরের পেছনের একটি বাঁশ ঝাড়ের নীচে অল্প পানি থাকা খাদে অর্ধেক পানিতে অর্ধেক ডাঙ্গায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন খবর দিলে পরিবারের লোকজনরা বাবা মা সনাক্ত করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মা বাবা ও পরিবারের আহাজাড়িতে এলাকার বাতাস ভাড়ি উঠে।সংবাদ শুনে এলাকার লোক জন এসে শিশুটির বাড়িতে ভীড় করে। চিন্তিত হয়ে পড়েন অন্যান্য অভিভাবকরা।

পূর্ণিমার বাবা সামসুল ইসলাম জানান,ভ্যান চালিয়ে এসে মেয়েকে ২০ টাকা দেন ডাল ও ২ টা ডিম আনার জন্য। মেয়েরে কাছে ৪ টাকা লি সে দিয়ে মায়ের জন্য লাল সুতা আনতে বলে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন । তিনি বলেন সব খানে মাইকিং করা হয়। যেখানে লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে সোমবার বিকেলেও খোঁজাখুজি করে পাওয়া যায়নি এবং তার কোন শত্রুও নেই বলে দাবী তার।

সুয়াপুর ইউপির ৪ ৫ ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা চৌকিদার রোবেয়া আক্তার বলেন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সাথে করে লাশ ধামরাই থানায় নিয়ে আসেন বলে জানান। তিনি বলেন খুব খারাপ কাজ হয়েছে।এর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test