E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজে ঘাট থেকে বিচ্ছিন্ন পন্টুন! 

২০১৮ জুলাই ০৩ ১৮:৪৮:৪৬
রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজে ঘাট থেকে বিচ্ছিন্ন পন্টুন! 

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ঘাট আছে, পন্টুন আছে কিন্তু একটা থেকে অন্যটা বিচ্ছিন্ন। এতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমণ্ডল লঞ্চঘাটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। জোয়ারের সময় হাঁটুপানিতে নেমে তাদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের চরমল লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ৪০ গজ দূরে অল্প পানির মধ্যে একটি পন্টুন রয়েছে। সেখানে পানি অল্প থাকায় পন্টুনটিতে লঞ্চ ভেড়ানো যায় না। তাই পন্টুনের পরিবর্তে ঘাটলায় লঞ্চ ভেড়ানো হয়। তবে ঘাটলা নিচু থাকায় লঞ্চে ওঠানামায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আবার জোয়ারের সময় ঘাটলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাঁটুপানিতে নেমে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হয়।

চরমণ্ডল লঞ্চঘাটের কয়েকজন যাত্রী জানায়, তিন মাস আগে চরমণ্ডল লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) একটি পন্টুন স্থাপন করেন। তবে ঘাট থেকে দূরে রাখার কারণে পন্টুনটি যাত্রীদের কোন উপকারেই আসে না। অথচ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী লঞ্চে আসা যাওয়া করে।

লঞ্চযাত্রী আইয়ুব খান বলেন, ‘এখানে ঘাট টিকেট কাটলেও কোন সেবা নেই। দীর্ঘদিন পর একটা পন্টুন দিয়েছে, তাও কাজে আসছে না।’

চরমণ্ডল লঞ্চঘাটে ঘাটটিকেট কাটার দায়িত্বে নিয়োজিত জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘পন্টুন লাগিয়ে লোকজন চলে গেছে। পন্টুনে লঞ্চ-ট্রলার কিছুই ঘাট দিতে পারে না। এই পন্টুন কোন উপকারেই আসে না।’

চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘ঘাটের সঙ্গে পন্টুন থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। এটি ঘাটের সঙ্গে স্থাপন করা প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক ও নদী বন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

(এসডি/এসপি/জুলাই ০৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test