E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজারহাটে ছাত্রী ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

২০১৮ জুলাই ০৪ ১৫:৪২:০২
রাজারহাটে ছাত্রী ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : অবশেষে ১ মাস পর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী বিচার পাবে কিনা এ নিয়ে এলাকায় দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের সোনাবর আমতলী গ্রামের আঃ সোবহানের স্কুল পড়–য়া কন্যা (১৩) গত ৩১ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের জন্য দাদীর বাড়ীতে গাভীর দুধ দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে প্রতিবেশী শাহআলমের পুত্র সোহেল রানা (২০) পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে সুপারী বাগানে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে লম্পট ধর্ষক সোহেল রানা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসীরা গুরুত্র অসুস্থ্য অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে রাজারহাট হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।

পরদিন শুক্রবার ধর্ষিতার মা চায়না বেগম বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০১, তাং ০১/০৬/১৮ইং। পরে ধর্ষিতার ধর্ষনের আলামত সংগ্রহের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে মেডিকেল করা হয়। ১ মাস পর গত ৩ জুলাই ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্ট রাজারহাট থানায় পৌচ্ছে। এরপর শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। পরে থানা পুলিশ জানায়, ধর্ষিতার মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষনের কোন আলামত নেই।

বিষয়টি ধর্ষিতা ও তার পরিবার জানার পর হতভম্ব হয়ে বলেন, এটি পুরো যড়যন্ত্র।

এলাকাবাসীর মধ্যে নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক অনেকে বলেন, এতবড় ন্যাক্কারজনক অপকর্ম করে কিভাবে এটা সম্ভব। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আরএমও ডাঃ শাহীনকে একাধিকবার ফোন করার পরও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তপন গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এ বিষয়ে ৪জুলাই রাজারহাট থানার ওসি(তদন্ত) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, এখন গোপন তদন্তের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিট কিংবা ফাইনাল রিপোর্ট দিবেন।

(পিএমএস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test