E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশাশুনির চাঞ্চল্যকর হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার রায় ২৩ জুলাই

২০১৮ জুলাই ০৫ ১৭:৪১:১২
আশাশুনির চাঞ্চল্যকর হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার রায় ২৩ জুলাই

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : গভীর নলকুপের পানি বিতরণকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্র হাবিবুল্লাহকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়  যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৩০জন আসামীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে আদালতে হাজিরা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া তিন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -২ আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এ আদেশ দেন। একইসাথে আগামি ২৩ জুলাই মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

পালিয়ে যাওয়া আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের ইনতাজ সরদারের ছেলে নিজামউদ্দিন সরদার, তার ভাই খায়রুল্লাহ সরদার ও তাদের ভগ্নিপতি কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল গ্রামের তাজুল সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের একটি গভীর নলকুপের সুপেয় পানি কার্ডের মাধ্যমে সরকারিভাবে কার্ডের মাধ্যমে বিতরন করা হয়। পানি বিতরনের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতি ওই গ্রামের আলিমুদ্দিন সরদার। ২০১৪ সালের ১১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে পানি বিতরনকে কেন্দ্র করে আশাশুনির বাঁকড়া গ্রামের পানি বিতরণ কমিটির সভাপতি আলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ সরদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলিমুদ্দিন সরদার বাদি হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক লুৎফর রহমান ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এদিকে ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি মহামান্য হাইকোর্টে এ মামলার ৩৫ জন আসামীর জামিন আদেশ খারিজ হলেও ১১ জানুয়ারি জামিন সংক্রান্ত এক ভুয়া আদেশে আসামীরা জামিন লাভ করার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিষ্টার আবু মোঃ সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগ থানায় ৩৫জন আসামীসহ তাদের নিযুক্তীয় আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সিআইডি’র পুলিশ পরিদর্শক হাসানুজ্জামান ও আনোয়ারুল ইসলামের হাত ঘুরে বর্তমানে দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মানষী বিশ্বাসের কাছে তদন্তাধীন।

মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ৩৫জন আসামীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে অভিযোগ গঠণ করা হয়। বাদি, পুলিশ ও ডাক্তারসহ ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২ জুলাই থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। বৃহষ্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কাজ শেষে আগামি ২৩ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুস সামাদ, অ্যাড. জিএম লুৎফর রহমান, অ্যাড. অজয় কুমার সরকার, অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাড. শহীদুল ইসলাম পিণ্টু প্রমুখ।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. এসএম হায়দার আলী, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড.নিজামউদ্দিন, অ্যাড. জুহুরুল ইসলাম, অ্যাড. মনিরউদ্দিন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, একই আদালতে আশাশুনির রিজিয়া হত্যা মামলায় বৃহষ্পতিবার সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিলো। হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার আসামী নিজামউদ্দিন ও খায়রুল্লাহ সরদার আদালতে হাজিরা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় রিজিয়া হত্যা মামলার আসামী হিসেবে তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

(আরকে/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test