E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পলাশবাড়ীতে আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তভুক্ত করতে  টাকা উত্তোলন

২০১৮ জুলাই ১২ ১৮:৩৮:৩৩
পলাশবাড়ীতে আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তভুক্ত করতে  টাকা উত্তোলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তভুক্ত করার আশ্বাসে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়নের গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় হতে প্রায় ৮৫০ জনের নিকট হতে ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি,সর্বনিম্ন একশত হতে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে একটি বিশাল ক্ষমতাধর দেখানো দানবীর সমাজসেবক চক্র যার মুলহোতা মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাজেদার রহমান দুলু।

সরেজমিনের তথ্য মতে জানা যায়, উপজেলার বেতকাপা রওশনবাগ গ্রামের মুনসুর আলী সরকারের ছেলে মুকুল সরকার বাবু (৩২) গত কয়েক মাস যাবৎ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে দরিদ্র মানুষের ছবি তুলে,জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটো কপি ও একশ হতে দুইশত করে টাকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তভক্ত করতে এবং সকল তালিকা ভুক্তদের নতুন ঘর বাড়ী করে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলছেন। এ পর্যন্ত একশত বিশ জন কে তালিকা ভুক্ত করতে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র সহ টাকা নিয়েছেন।

মুকুল সরকার বাবু কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বেতকাপা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গণি মিয়ার সঙ্গে থেকে ১২০ জনে তালিকা করেছি। এসব তালিকা ভোগীরা ৫০ হতে ১০০ টাকা করে দিয়েছে কাগজ ঠিক করতে। পার্শ্ববর্তী পবনাপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া ২০০ জনের তালিকা করেছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গণি মিয়া জানান,মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাজেদার রহমান দুলুর নিকট প্রাপ্ত পত্রমুলে উপজেলা জুড়ে তালিকায় আশ্রয়হীন ৩০ জন মানুষের ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটোকপি সহ কাগজপত্র ঠিক করতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা করে নিয়েছি। এভাবে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে ৮৫০ জনের নিকট হতে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রে ফটোকপি গ্রহন করেছেন মাজেদার রহমান দুলু।

পবনাপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া জানান, কে বলেছে আমি দুইশত জনের কাছে নিয়েছি। আমি মাত্র ২৫ জনের নিকট হতে জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহন করে তালিকা প্রস্তুত করেছি। আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তভুক্ত করতে। সাবেক চেয়ারম্যান মাজেদার রহমান দুলু কে আমি কোন তালিকা দেইনি।

মনোহরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নব্য জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মাজেদার রহমান দুলু জানান,তালিকা হয়েছে ঠিকই তবে কারো কাছে কোন টাকা নিতে কাউকে বলা হয়নি। যদি কেউ নিয়ে থাকে তবে অন্যায় করেছে।তিনি এসময় এ প্রতিবেদক কে বলেন বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকুন আপনার এলাকাও আপনার মাধ্যমে এসব সুবিধা দেওয়া হবে। এবং আপনার সঙ্গে দেখা করা হবে। আমাকে সহযোগীতা করেন আগামী দিনের জন্য।আমি সকলের জন্য কাজ করতে চাই।

একটি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর এভাবে দরিদ্র মানুষের নিকট বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি গ্রহন করে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার নিকট থেকে সুবিধা গ্রহন পূর্বক আত্মসাৎ করে অগাধ টাকার মালিক বনে নিজেকে ক্ষমতাসীনদলের বলে দানবীর ও সমাজসেবক হিাসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ততৎপর রয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ প্রকল্প আশ্রয়ন প্রকল্পের তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) আরিফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্পে নাম অর্ন্তভুক্ত করার জন্য মাজেদার রহমান দুলু কে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছে কেউ টাকা নিলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এসআইআর/এসপি/জুলাই ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test