E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মির্জাপুরে আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারে দুর্নীতির অভিযোগ

২০১৪ জুলাই ১৩ ১৬:৩০:১৫
মির্জাপুরে আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারে দুর্নীতির অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিদেশী অর্থায়নের পৌনে দুই কোটি টাকার আইসিটি দু’তলা ভবন নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

উদ্বোধনের আগেই নির্মাধীন ভবনের ছাঁদ দিয়ে পরছে পানি। মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাকির হোসেন মোল্লা ভবন নির্মান কাজের অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ২৫ জুন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক ব্যানবেইস, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শিক্ষা সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার ৬৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০ টি কলেজ, ও ১৪ টি মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য উপজেলা পরিষদ গেটের বিপরীত পাশে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি দু’তলা আইসিটি ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কোরিয়া এইরকম ব্যাংক কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকার অর্থ প্রদান করে।

শিক্ষা মন্ত্রনালয় ব্যানবেইজের যৌথ উদ্যোগে ভবন নির্মানের জন্য প্রথমে কোরিয়ান কোম্পানি এলএস ক্যাবল এন্ড সাসটেইম লিমিটেট কাজ নেন। এই প্রতিষ্ঠান আবার একইরকম ঠিকাদার কোম্পানী কাজ করার জন্য সাব কন্ট্রাক দেন। এই সংস্থা কিছু কাজ করার পর পরবর্তীতে এক্সক্লুসিভ নামে অপর একটি ঠিকাদারকে কাজ দেন। এই ঠিকাদারী সংস্থা কাজ নিয়ে এতটাই নিুমান উপায়ে কাজ করছে যে, ভবন নির্মানের উদ্বোধনের আগেই ভবনের ছাঁদ দিয়ে পানি পরছে। এ ছাড়া মুল ভবনের পাইলিং ও পিলারের নিুমানের তিন নম্বর পচা ইট, নিুমানের বালি ও সিমেন্ট দেওয়ায় পুরো কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দরজা ও জনালায় উন্নত মানের রড ও কাঠ দেওয়ার জন্য সিডিউলে দেওয়া থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিুমানের কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে। ফলে গুরুত্বপুর্ন এই ভবন উদ্বোধনের আগেই যে কোন সময় ধ্বসে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে এক্সক্লুসিব ঠিকাদার সংস্থার প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) সুদর্শনের সঙ্গে যোগাযোগ করা তিনি অভিযোগ আংশিক স্বীকার করে বলেন, শিক্ষা বিভাগের ব্যানবেইজ এর পরিচালকের নির্দেশক্রমে কাজ করা হচ্ছে। কোন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভবন নির্মানের দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতি ও অনিয়মের কারনে ভবনটি খুবই নিুমানের হচ্ছে। এ ছাড়া ভবনটি উদ্বোধনের আগেই ছাঁদ দিয়ে পানি পরছে। যে কোন সময় ভবনটি ধ্বসে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

(এসউ/এটিআর/জুলাই ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test