E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘোষণা দিয়ে নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

২০১৮ জুলাই ১৬ ২২:৫৪:১৬
ঘোষণা দিয়ে নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বখাটের সঙ্গে বিয়ে না দেয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এক নববধূকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। দুইদিন আটকে রেখে গণধর্ষণের পর নববধূকে বাবার বাড়ি ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রমানাথ পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নববধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের রমানাথ পুর গ্রামের হাবিবর রহমান শেখের ছেলে দবির শেখ ও তার সঙ্গীরা কোমরভোগ পশ্চিমপাড়ার এক কৃষকের মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।

স্থানীয় নেতাদের কাছে বিচার চেয়ে প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে কিছুদিন আগে পাশের গ্রামে মেয়েকে বিয়ে দেয় পরিবার। শনিবার সকালে নববধূ বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাচ্ছিল।

পথিমধ্যে দবির ও তার সঙ্গীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার দুইদিন পর সোমবার সকালে অপহরণকারীরা একটি মোটরসাইকেলে করে নববধূকে তার বাবার বাড়ি ফেলে রেখে যায়।

পরিবারের লোকেরা গুরুতর অসুস্থ নববধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।

নববধূর চাচা বলেন, বাড়িতে ঘর তোলার কাজে গিয়ে রাজমিস্ত্রি দবির আমাদের মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়ের পরিবার রাজি না হওয়ায় তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকে দবির।

একপর্যায়ে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়া হয়। এতেও রক্ষা হলো না। প্রথম থেকে আমরা দবিরের বিরুদ্ধে গ্রামের নেতাদের কাছে বিচার দিয়েছি। কিন্তু বিচার পাইনি। দবির তার ঘোষণা অনুযায়ী মেয়েকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে বাড়িতে ফেলে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্যাতিত নববধূকে দেখতে যাওয়া ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য সাবিনা পারভীন বলেন, প্রভাবশালী রাজমিস্ত্রি দবির ও তার সঙ্গীরা ঘোষণা দিয়ে এই নববধূকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর বাড়িতে ফেলে যায়। আমি এর কঠিন বিচার চাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফুল আলম বলেন, গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। গৃহবধূর মেডিকেল করার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনা শুনে তাক্ষণিকভাবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উপস্থিত হন খোকসা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) তালুকদার আসাদুজ্জামান। তিনি নির্যাতিত নববধূর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু মেয়েটি খুবই অসুস্থ থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি।

খোকসা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) তালুকদার আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে দ্রুতসময়ে গ্রেফতার করা হবে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test