E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শুরু

২০১৮ জুলাই ২২ ০০:১৭:০৬
শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত শুরু

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : একটি পদের জন্য স্থানীয় এম.পি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর দুজনকে দেয়া দুটি ডিও লেটারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারের ওপর দল বল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় সভাপতি প্রার্থী মাসকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস ছালাম বাঙ্গালী। 

হামলার ১৩ দিন পর আদালতের নির্দেশে আব্দুস ছালাম বাঙ্গালীকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মামলার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই নোমান সাদেকিন। আদালতের নির্দেশে ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকারের এজাহারটি কেন্দুয়া থানা পুলিশ এফ.আই.আর হিসেবে গন্য করেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার জানান, জয়কা সাতাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির সাবেক সভাপতি শহীদুল হক ফকির বাচ্চুর জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর চলতি বছরের গত ১ জুন এটি ডিও লেটার দেন এম.পি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু।

অপরদিকে একই বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি পদে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও মাসকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীগ নেতা আব্দুস ছালাম বাঙ্গালীর জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর আরেকটি ডিও লেটার দেন ২৪ জুন। একটি পদের জন্য এম.পি পিন্টুর দুজনকে দেয়া দুটি ডিও লেটার নিয়ে চাপের মুখে পড়েন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার।

প্রধান শিক্ষক আরো জানান, গত ৭ জুলাই দুপুরে সভাপতি প্রার্থী আব্দুস ছালাম বাঙ্গালী তার দলবল নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যান। এ সময় আব্দুস ছালাম বাঙ্গালী ও তার লোকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বলেন। তপন চন্দ্র সরকার ওই ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে রাজি না হওয়ায় আব্দুস ছালাম বাঙ্গালী ও তার লোকজন তার ওপর হামলা চালিয়ে জোর করে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নেয়।

এ ঘটনায় শিক্ষক তপন চন্দ্র সরকার কেন্দুয়া থানায় মামলা করতে না পেরে গত ১৫ জুলাই নেত্রকোণা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এজাহার দাখিল করেন। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক ১৯ জুলাই তারিখের মধ্যে এজাহারটি কেন্দুয়া থানা ওসিকে দ্রুত বিচার আইনে এফ.আই.আর হিসেবে গন্য করার জন্য নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের এস.আই নোমান সাদেকিন বলেন, শনিবার থেকে মামলার আনুষ্ঠানিক তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test