E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে সড়কের গাছ কর্তন, দেখার কেউ নেই

২০১৮ জুলাই ২৪ ১৭:১৪:১৫
গোবিন্দগঞ্জে অবৈধভাবে সড়কের গাছ কর্তন, দেখার কেউ নেই

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে একটি সড়কের ৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের শতাধিক গাছ কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মাসুদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এসব মুল্যবান সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার পর্যন্ত দুই দিন প্রায় শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগে জানান, গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের লাবু মিয়ার বাড়ী থেকে সাবু মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত ফুলপুকুরিয়া-ময়দানহাটা সড়কের ১ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের দুই ধারে ১০/১২ বছর আগে প্রায় ১ হাজার ইউক্লিপটাস গাছ রোপন করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কাঠ ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে এসব গাছের মুল্য ৫ লক্ষ টাকা অধিক হবে। কিন্তু এসব গাছ বিক্রির দরপত্র আহবান তো দুরের কথা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ওই ইউনিয়নের প্রাক্তন সদস্য মাসুদ মাত্র দেড় লাখ টাকায় এসব গাছ বিক্রি করেন তারই ভাই মোফাজ্জল হোসেন মোফার কাছে। ফুলপুকুরিয়া বাজারের ‘ছ’ মিলসহ সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মোফাকে পাওয়া যায়নি। তবে সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ বলেন, সড়কের গাছগুলো আমরাই রোপন করেছিলাম। স্থানীয় জামে মসজিদের উন্নয়ন কল্পে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা সামাজিক বনায়ন অঞ্চলের সহকারি বন সংরক্ষকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানাধীন কোন গাছ বিক্রি করতে ইউনিয়ন পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব আকারে এ-সংক্রান্ত উপজেলা কমিটিতে পাঠাতে হবে। ৬ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহবায়ক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদস্য সচিব সহকারি কমিশনার (ভূমি)।

অন্য চার সদস্য হলেন, উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি। এছাড়াও, গাছের মুল্য ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ইউএনও প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠাবেন। জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই গাছ বিক্রি করতে হবে। এ প্রসঙ্গে,একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ইউএনওর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও গোবিন্দগঞ্জ বন বিভাগের বনরক্ষক (ফরেস্টার) মিজানুর রহমান বলেন, ওই সড়কের গাছ বন বিভাগের নয়। তাই এ নিয়ে আমার কিছুই করার নেই।

উপজেলা প্রকৌশলী ছাবের আলী বলেন, গাছ বিক্রি সংক্রান্ত উপজেলা কমিটিতে সভা হয়েছে কি না আমি জানি না।

(এসআরডি/এসপি/জুলাই ২৪, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test