E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদারীপুরে পানির ফোয়ারার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উদ্ভাবন দুই শিক্ষার্থীর

২০১৮ জুলাই ২৫ ১৭:০৩:৪৩
মাদারীপুরে পানির ফোয়ারার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উদ্ভাবন দুই শিক্ষার্থীর

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে কালকিনি উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল রমজানপুরে অবস্থিত ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের দুই শিক্ষার্থী ফোয়ারার মাধ্যমে পানি দিয়ে জাতীয় পতাকা উদ্ভাবন করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তারা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সামনে পানির ফোয়ারাটি তৈরী করেছেন। সরকারের সহায়তা পেলে এ ফোরায়াকে আরো বৃহৎ আকারে তৈরি করে গণভবনের সম্মুখে স্থাপন করতে চান এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী নিউটন হাওলাদার ও সাকিব ইসলাম সবুজ। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নিউটন হাওলাদার ও সাকিব ইসলাম সবুজ। তারা ৬ মাস আগে ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় যান। সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের সম্মুখ দিয়ে আসার সময় দৃষ্টি নন্দিত ফোরায়া দেখে মুগ্ধ হন তারা। এরপরে বাড়িতে ফিরে শুধু ফোরায়া নয় তার মধ্যে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা যায় তা নিয়ে ভাবতে থাকেন।

পরে গত তিন মাস আগে থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স পাম্প মটরের সাহায্যে এবং নিজেদের প্রায় এক লাখ টাকা ব্যয় করে চার ফিট দৈর্ঘ্য জাতীয় পতাকাটির ফোরায়ারা আবিস্কার করেন। ফোয়ারার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা পানির উদ্ভাবন করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আবিষ্কারক দুই শিক্ষার্থী। জাতীয় পতাকা সম্বলিত পানির ফোয়ারা দেখার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-ছাত্রীসহ নানা পেশার মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন। সরকারের সহযোগিতা পেলে এ জাতীয় পতাকাটি বৃহত আকারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সম্মুখে স্থাপন করতে চান এ দুই ক্ষুদে আবিস্কারক।

পানি ফোয়ারায় জাতীয় পতাকা আবিস্কারক নিউটন হাওলাদার বলেন, আমরা স্বাধীন দেশে বাস করি। দেশকে ভালোবেসে কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক ও সকল শিক্ষার্থীর সহযোগিতায় আমরা এ পানির ফোয়ারাটি তৈরী করেছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে পতাকা পেয়েছি তা পানির ফোয়ারার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছি। আমরা ভবিষ্যতে আরো বড় বড় এ ধরণের ফোয়ারা তৈরী করতে চাই। কিন্তু ফোয়ারা তৈরী অনেক ব্যয়বহুল। তাছাড়া আমরা ছাত্র মানুষ তাই ফোয়ারা তৈরীর জন্য লাখ লাখ টাকা কোথায় পাবো। আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হলে বড় ফোয়ারা তৈরী করতে পারবো। সবচেয়ে বড় ফোয়ারাটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দিতে চাই। বড় ফোয়ারাগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে, গণভবনের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো যেতে পারে। এর ফলে আমাদের দেশের গৌরব আরও বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, নিউটন ও সবুজ পানির ফোয়ারার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা তৈরী করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। আমরা সহপাঠিরা এই আবিস্কারে গর্বিত। জাতীয় পতাকা আবিষ্কারের ফলে আমাদের কলেজের সুনাম দেশ - বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে এই প্রত্যাশা করি।

ডক্টর আবদুস সোবহান গোলাপ পলিটেকনিক ইন্সটিটিটের অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমাদের কলেজের কৃতি এই দুই ছাত্রদের পানির ফোয়ারার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা আবিস্কারে আমরা শিক্ষকমন্ডলীসহ সকলে গর্বিত। আমার মনে হয় এ ধরণের আবিষ্কার বাংলাদেশ তথা বিশ্বে সর্ব প্রথম। আমি সরকারের নেতৃস্থানীয় সকলের প্রতি আহ্বান জানাবো আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি সহযোগিতা বাড়িয়ে দিলে নতুন নতুন আবিষ্কারে ছাত্ররা উৎসাহিত হবে। যা দেশর জন্য সম্মান বয়ে আনবে।


(এএসএ/এসপি/জুলাই ২৫, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test