E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বড়াইগ্রামের উপলশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতায় মাঠ জুড়ে জন্মেছে কচুিরপানা

২০১৮ জুলাই ২৭ ১৫:৫২:০৮
বড়াইগ্রামের উপলশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতায় মাঠ জুড়ে জন্মেছে কচুিরপানা

নাটোর প্রতিনিধি : খেলার মাঠজুড়ে পানি আর কচুির পানা। দুর থেকে মনে হয় ফসলের মাঠ। আর একটু বেশি বৃষ্টি হলে পানিতে সয়লাব হয়ে উঠে শ্রেণী কক্ষের মেঝে। তখন আর ক্লাশ নেওয়া সম্ভব হয় না, অনির্ধিারিত ভাবে বন্ধ থাকে স্কুল। এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার উপলশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে। উপলশহর ফসলী মাঠে দুটি পুকুর খননের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই অবস্থার। বিদ্যালয় মাঠে পাশাপাশি বিলের প্রায় ১ হাজার বিঘা ফসলী জমিতেও সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতার। ফসে সেখানেও জন্মেনা কোন ফসল।

সরেজমিন বৃহস্পতিবার উপলশহর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। প্রায় দুই বিঘা জমির খেলার মাঠের ৯৫ ভাগেই জমে আছে পানি আর কচুরী পানা। রোদ-বৃষ্টি কোন দিনই খেলা হয় না শিক্ষার্থীদের।

উপলশহর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ ও সানোয়ার হোসেন জানান, গত প্রায় ছয়মাস আগে উপলশহর বিলের ফসলী জমিতে পুকুর খনন করেছেন গ্রামেরই মকবুল হোসেন ও ওয়াজ উদ্দিন দুই ভাই। তাদের পুকুরের পাড় বাঁধার ফলে মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে গোটা মাঠের বৃষ্টিসহ সকল ধরনের পানি এসে ভাটি অর্থাৎ উপলশহর স্কুল ও স্কুল সংলগ্ন ফসলী জমিতে জমা হয়। এতেকরে স্কুলের খেলার মাঠসহ ফসলী মাঠের প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে এখন স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় স্কুল মাঠ ভরে উঠেছে কচুরী পানায়। এদিকে শতাধিক প্রান্তিক কৃষক তাদের জমিতে ফসল ফলাতে না পারায় এবং গত ব্যুরো মৌসুমে ধান কাটতে না পারায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। মকবুল হোসেনেরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের অনেকেই মুখ খুলতে শাহষ পাচ্ছেন না। তবে বিদ্যায়েল পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেছেন। তারা পরির্দশন করে গেলেও কোন প্রতিকার করেন নাই এখনো।

দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহিন আলম বলেন, খেলার মাঠে জলাবদ্ধ থাকায় আমাদের বিদ্যালয়টা কোচিং সেন্টারের মত হয়ে গেছে। স্কুলে এসে পড়া শেষে বই গুটিয়ে বাড়ি চলে যেতে হয়। মাঠে বসে বন্ধুদের সাথে গল্প করা আড্ডা দেওয়া বা খেলা কোনটারই সুযোগ নাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, পুকুরের পাড়ের ফলে বিলের পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিদ্যায়ল মাঠে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আমাদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত এবং ইউএনও স্যারকে অবহিত করা হয়েছে। তারা এর প্রতিকারে উদ্যোগ না নিলে স্থানীয়ভাবে সম্ভব হবে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, ইউএনও মহোদয়ের পরামর্শে আমি ও কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ বিদ্যালয় মাঠ ও ফসলী মাঠের জলাবদ্ধতার ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন সামনে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

(এসবি/এসপি/জুলাই ২৭, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test