E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চাটমোহরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

২০১৮ আগস্ট ০১ ১৮:২১:০২
চাটমোহরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরীর চাকুরী দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থ ফেরতের আশায় মঙ্গলবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সোন্দভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আরিফ হোসেনের বড় ভাই গোলজার হোসেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অলিখিত প্রতিনিধি হয়ে নানা অপকর্ম সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেনকে দিয়ে করিয়ে থাকেন। এই কারণে তিনি অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে দাপট দেখিয়ে চলছেন। অন্যান্য শিক্ষকদের বদলীসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে ভাগ বাটোয়ারা করার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে উপজেলার খতবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিয়ন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে উক্ত পদে আটলংকা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে আরিফ হোসেন আবেদন করেন। এরপর চাকরির জন্য আরিফের বড় ভাই গোলজার হোসেন একই উপজেলার সোন্দভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে আরিফের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে মোজাম্মেল হোসেন আশ্বাস দিলে তাকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন গোলজার হোসেন। পরে নিয়োগ পরীক্ষায় আরিফ হোসেনের চাকরি না হওয়ায় অনেক ঘোরাঘুরির পর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ফেরৎ দিলেও মোজাম্মেল হোসেন অবশিষ্ট টাকা ফেরত দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। পরে গোলজার হোসেন মঙ্গলবার প্রতারণার অভিযোগ এনে ইউএনও’র কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

গোলজার হোসেন বলেন, ‘তার ভাইয়ের চাকুরির জন্য মোজাম্মেল স্যারকে টাকা দিয়েছিলাম। তিন বছর আমি টাকা ফেরত পাবার আশায় ঘুরছি। চাকরি না হওয়ায় এবং টাকার শোকে আমার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’

অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আরিফ নামের কাউকে আমি চিনি না। এ ধরণের লেনদেনের প্রশ্নই ওঠেনা। আমার বিরুদ্ধে এটা চক্রান্ত।’

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আশরাফুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একটি স্কুলের মা সমাবেশে আছি। পরে এসে কথা বলবো।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার বলেন, ‘একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। প্রতারণার বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে সমাধান করতে হবে। তবে ঘটনাটি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগকারীকে সঠিক পরামর্শ দেয়া হবে।’

(এসএইচএম/এসপি/আগস্ট ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test